কালাম ভিশন ২০২০ : চাঁদে ভারতের পতাকা উড়তে দেখে শিশুসুলভ উল্লাস করেছিলেন এপিজে
কালাম ভিশন ২০২০ : চাঁদে ভারতের পতাকা উড়তে দেখে শিশুসুলভ উল্লাস করেছিলেন এপিজে
২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বর ভারত আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রথমবারের মত চাঁদে পা রেখেছিল। দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তের পরে শেষ পর্যন্ত চাঁদের মাটিতে ভারতের পতাকা উড়িয়ে দেয় চন্দ্রযান-১। এরই সঙ্গে ভারত পৃথিবীর চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদের বুকে পতাকা ওড়ায়। সেই সময় উল্লাসে ফেটে পড়েছিল গোটা ইসরো সেন্টার। তৎকালীন ইসরো প্রধান মাধবন নায়ারের চোখে তখন অশ্রু। তিনি সেই খুশির কান্না কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলে, ভারত যে কোনও কিছু করতে পারে।
কালামের শিশুসুলভ সরলতা
তবে সেই সময় ইসরোর কন্ট্রোল রুমে আরও একজন ছিলেন। তিনি ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম। বাকিদের মতো তিনিও উল্লাস করছিলেন। তবে তাঁর উল্লাসে ছিল শিশুসুলভ সরলতা। তিনি সেদিন বলেছিলেন, 'আজ আমি খুব খুশি। আমি ইসরো ও দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাতে চাই। এই অভূতপূর্ব কৃতিত্ব আমরা করে দেখিয়েছি।'
চাঁদের মাটিতে ভারতের পতাকা ওড়ানোর পরিকল্পনা
যেই মুহূর্তে এপিজে আবদুল কালাম জানতে পারেন যে চাঁদের মাটিতে ভারতের পতাকা উড়ছে তিনি তাঁর মুষ্ঠি শূন্যে ছুঁড়ে দেন। আদতে চাঁদের মাটিতে ভারতের পতাকা ওড়ানোর পরিকল্পনাটি ছিল তাঁর। তাঁর বক্তব্য ছিল, মাউন্ট এভারেস্টের শৃঙ্গে ভারতের পতাকা ওড়ানো হয়েছে। তবে চাঁদের বুকে কেন তেরঙ্গা উড়বে না!
সাধারণ পরিবার থেকে রাষ্ট্রপতি
মিসাইল ম্যান নামে পরিচিত আমাদের সবার প্রিয় ও শ্রদ্ধেও ডঃ এপিজে আবদুল কালাম। খুব সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসে আবদুল কালাম হয়ে উঠেছিলেন জগণের রাষ্ট্রপতি। ভারতের যুব সমাজে কালামের প্রভাব অনস্বীকার্য।
ভারতের ভিশন ২০২০
ভারতের ভিশন ২০২০ আদতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। সেই সময় ৫০০ জনের বিজ্ঞানীদের দলের টিএফএ কাউন্সিলের দারা এই ভিশন বাস্তবায়নের রূপরেখা তৈরি করে। সেই কাউন্সিলের প্রধান ছিলেন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম। পরবর্তীতে ওয়াইএস রাজনের সঙ্গে মিলে 'ইন্ডিয়া ২০২০ : এ ভিশন ফর দ্যা নিউ মিলেনিয়াম' বইটি লিখেছিলেন কালাম। তাতে বিস্তারে এই রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে লিখেছিলেন তিনি।
মন থেকে কিছু চাইলে যে সেটা পাওয়া যায়, আব্দুল কালামের এই কাহিনি তা প্রমাণ করে