গরু পাচার, ড্রাগ, জাল নোটে এগিয়ে বাংলা! তৃণমূলের রিপোর্টে সিলমোহর, কটাক্ষ কৈলাসের
রাজ্য সরকার রথযাত্রার অনুমতি দেয়নি। সেই কারণে মমতার সরকারের সমালোচনায় কৈলাস বিজয়বর্গীয়
দিল্লি থেকে অমিত শাহের আক্রমণের পরেই কোচবিহার থেকে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণে সামিল হলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। রাজ্য গরু পাচার থেকে শুরু করে ড্রাগ এবং জালনোটের কারবারে এগিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বিজেপি রাজ্যে যেকোনও বলিদানে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন এই কেন্দ্রীয় নেতা। আদালতে রথযাত্রা নিয়ে কোচবিহারের পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের রিপোর্ট প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, রিপোর্ট তৈরি করেছে তৃণমূল আর তাতে সিলমোহর দিয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা।
রাজ্যে সরকারি আধিকারিকরা তৃণমূলের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করছে। এমনটাই অভিযোগ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বৃহস্পতিবার পাশে কালো পতাকা নিয়ে হাজির থাকলে পুলিশকর্মীরা তাদের কিছুই বলেননি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছবিতেই দেখা যাচ্ছে পুলিশকর্মীদের পাশ থেকে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূলকর্মীরা। তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কোনও ভূমিকাই গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
সাতবছর ধরে বাংলায় তৃণমূলের অপশাসন চলছে। রাজ্যে বিজেপির সাফল্যে ঘাবড়ে গিয়েছে তৃণমূল। দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই অভিযোগ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তৃণমূলের অপশাসন সিপিএম-কেও ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন অমিত শাহ। শনিবার তিনি রাজ্য আসছেন বলেও জানিয়েছেন।
কথা ছিল ৭ ডিসেম্বর কোচবিহার থেকে রথযাত্রা সূচনা করবেন। বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশের পর রথযাত্রা হবে না ধরে নেওয়া হলেও, বিজেপির তরফে জানানো হয়েছিল অমিত শাহ আসবেন। সভা করবেন কোচবিহারে। কিন্তু সকালে জানা যায় তিনি আসছেন না। দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক
দুপুর একটায় নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয় সাংবাদিক সম্মেলন। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন রাজনৈতিক খুনে বাংলা একনম্বরে। একইসঙ্গে তিনি জানান, আদালতের নির্দেশের পর রথযাত্রা হবেই। রাজ্যের তিনটি জায়গা থেকেই রথযাত্রা হবে বলে জানান তিনি। অমিত শাহ ত্রিলোচন মাহাত সহ খুন হওয়া কর্মীদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেন। ১৩৪১ জন কর্মী-সমর্থক আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি করেন অমিত শাহ।
মমতা ভয় পেয়েছে
অমিত শাহ বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছে। কলকাতায় সভা হলে বাংলায় পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী বলেও দাবি করেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকে ভয় দেখানো শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি সভাপতি। সেই সময় ২ কোটি মানুষ ভোট দিতে পারেননি বলেও জানান তিনি।
গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ
অমিত শাহের অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোাধ করা হচ্ছে। প্রশাসন তোষণের রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রাজ্যে রবীন্দ্র সঙ্গীতের সু চাপা দিয়েছে বোমার আওয়াজ। মন্তব্য করেছেন অমিত শাহ।
তৃণমূলের কুশাসন, তোষণের রাজনীতি
অমিত শাহ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের কুশাসন চলছে। ৩ যাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। সময় নিয়েও তার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। প্রশাসন তোষণের রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সিপিএম-এর শাসনের তুলনা
তৃণমূলের শাসনের সঙ্গে রাজ্যে বাম শাসনের তুলনা করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, তৃণমূলের শাসনে যে নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে, তা বাম শাসনেও ছিল না।