নোবেল পুরস্কার পেলেন ভারতের কৈলাস সত্যার্থী
২০১৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন কৈলাস সত্যার্থী। শিশুদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করা এই প্রৌঢ় গর্বিত করলেন দেশকে। পাকিস্তানের কিশোরী মালালা ইউসুফজাইয়ের সঙ্গে তিনি এই পুরস্কার ভাগ করে নিলেন। চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নরওয়ের অসলোতে এই পুরস্কার তাঁর হাতে তুলে দেবে নোবেল কমিটি। প্রসঙ্গত, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একমাত্র অসলোতে প্রদান করা হয়। বাকি ক্ষেত্র অর্থাৎ সাহিত্য, পদার্থবিদ্যা, চিকিৎসাশাস্ত্র ইত্যাদিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় সুইডেনের স্টকহোমে।
আরও পড়ুন: কৈলাসের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত মালালা
মধ্যপ্রদেশের বিদিশায় ১৯৫৪ সালের ১১ জানুয়ারি জন্ম কৈলাস সত্যার্থীর। এখন তিনি পরিবার নিয়ে থাকেন দিল্লিতে। শিশুশ্রম বন্ধ করা, নাবালিকা বিবাহের বিরুদ্ধে জনমত গঠন, পথশিশুদের পুনর্বাসন ইত্যাদি কঠিন কাজে তিনি লিপ্ত অন্তত ৩০ বছর ধরে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হুমকির মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে তাঁর ওপর। তবুও দমেননি। সেই অকুতোভয় কাজের স্বীকৃতি হিসাবে শেষ পর্যন্ত পেলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার। প্রসঙ্গত, কৈলাস সত্যার্থীর সংগঠনটির নাম হল 'বচপন বাঁচাও আন্দোলন'।
নোবেল পুরস্কার পাওয়া একটা আলাদা অনুভূতি ঠিকই। কিন্তু দীর্ঘ কর্মজীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন কৈলাস সত্যার্থী। ১৯৮৪ সালে প্রথম পান আখেনার ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যাওয়ার্ড। তার পর রর্বাট কেনেডি হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড, আলফোনসো কোমিন অ্যাওয়ার্ড ইত্যাদি অভিজাত পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি মনে করেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ায় আন্তর্জাতিক স্তরে আরও বেশি করে উঠে আসবে ভারতের শিশুদের সমস্যাগুলি। তাতে কাজ করতে সুবিধা হবে।
শান্তিতে নোবেল পাওয়ায় কৈলাস সত্যার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।