রাষ্ট্রপতি শাসনের পথে কর্ণাটক? কোন পথে এগোচ্ছে এরাজ্যে রাজনীতি!
কুমারস্বামী সরকারের পতন হলেও সংকট কাটেনি কর্নাটকে। ইয়েদুরাপ্পা এখনও সবুজ সঙ্কেত পাননি অমিত শাহের কাছ থেকে। যার জেরে সরকার গঠনের দাবি জানাতে পারছে না বিজেপি।
কুমারস্বামী সরকারের পতন হলেও সংকট কাটেনি কর্নাটকে। ইয়েদুরাপ্পা এখনও সবুজ সঙ্কেত পাননি অমিত শাহের কাছ থেকে। যার জেরে সরকার গঠনের দাবি জানাতে পারছে না বিজেপি। তাহলে কী জারি হতে চলেছে রাষ্ট্রপতি শাসন। সেদিকেই পরিস্থিতি ক্রমশ এগোচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অমিত শাহের মতামত জানতে আজই দিল্লি পৌঁছেছেন কর্নাটক বিজেপির প্রতিনিধিদল। তাঁরা অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে অমিত শাহ যে দিক নির্দেশ করবেন সেপথেই এগোবে কর্নাটক বিজেপি। হিসেব মতো জোট সরকার ফেলার জন্য যেভাবে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন ইয়েদুরাপ্পারা। তাতে আস্থা ভোটে কুমারস্বামীদের হেরে যাওয়ার পরেই সরকার গঠনের দাবি জানানো উচিত ছিল বিজেপির।
কিন্তু আস্থাভোটের প্রায় দু'দিন সময় পেরিয়ে গেলেও বিজেপির পক্ষ থেকে সরকার গঠনের দাবি জানানোর তেমন কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। সবটাই নির্ভর করছে পার্টির হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের উপর।
তাহলে কি দলভাঙানোর অপবাদ ঘোচাতে অন্য কোনও সমীকরণের পথে এগোচ্ছেন অমিত শাহরা। না কি বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। কারণ এখনই সরকার গঠনের দাবি জানালে বিদ্রোহী বিধায়কদের বরখাস্ত করতে পারেন স্পিকার।
তাতে বিজেপির লোকসানই বেশি। কারণ তাঁদের দলে নিয়ে কোনও লাভ হবে না। বিজেপিতে যোগ দিলেও উপনির্বাচনে তাঁরা প্রার্থী হতে পারবেন না আবার বিজেপিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রীও হতে পারবেন না। তাই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নতুন করে বিধানসভা ভোট করাতে চাইছেন অমিত শাহরা। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।