বিজেপি পরিবারে সামিল করার জন্য মোদী, অমিত শাহকে ধন্যবাদ জ্যোতিরাদিত্যর
বিজেপি পরিবারে সামিল করার জন্য মোদী, অমিত শাহকে ধন্যবাদ,.....জ্যোতিরাদিত্য
অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বিজেপির সর্বভারতী সভাপতি জেপি নাড্ডার হাতে পুস্পস্তবক নিয়ে বিজেপিতে পা রাখলেন গোয়ালিয়রের মহারাজ জ্যোতিরািদত্য সিন্ধিয়া। বিজেপির পদ্ম আঁকা উত্তরীয় গলায় পরে ধন্যবাদ জানালেন মোদী এবং অমিত শাহকে।
বিজেপিতে জ্যোতিরাদিত্য
এবার আর কংগ্রেসের দাপুটে নেতা নন, বিজেপি তাঁর নামের আগে বসবে বিজেপি শব্দটি। অঘটন ঘটিয়ে সেই গেরুয়া শিবিরেই গিয়ে ভিঁড়লেন গোয়ালিয়রের মহারাজ। পূর্ণ হল বৃত্ত। পিসি-ভাইপোর যুগলবন্দিতে আরও শক্তিশালী হল বিজেিপ। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া আগেই ভাইপোর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছিলেন, সঠিক কাজ করেছেন জ্যোতিরাদিত্য। তাঁর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও।
জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে দলবদল
রাহু কাল অতিক্রন্ত হতেই বিজেপির সদর দফতরে হাজির হয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। ১৮ বছরের কংগ্রেস দলের সঙ্গে সম্পর্কের মায়া কাটিয়ে পদ্মশিবিরের হাত ধরলেন গোয়ালিয়রের রাজা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতেই বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তাঁর হাতে পুস্প স্তবক তুলে দেন জেপি নাড্ডা। পরিয়ে দেন পদ্ম আঁকা উত্তরীয়। জ্যোতিরাদিত্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁকে দলে সাদর অভ্যর্থনা জানান জেপি নাড্ডা।
মোদী, শাহকে ধন্যবাদ
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি বলেছেন, 'বিজেপি পরিবারে সামিল করার জন্য মোদী এবং অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানাই। আমার জীবনের ২টি দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমটা ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০০১, আমার বাবার মৃত্যুদিন। সেই দিনটা আমার জীবন বদলে দিয়েছিল। আর দ্বিতীয়টি আমার বাবার ৭৫তম জন্মদিন। ১০ মার্চ ২০২০। সেদিন আমির জীবনের আরেকটি গুরুপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি জনসেবাতেই বিশ্বাসী বরাবর। জনসেবাই আমার জীবনের দর্শণ। রাজনীতিই সেই আদর্শ মেনে চলার একমাত্র পথ। মোদী এবং অমিত শাহ বিজেপির অংশ করে জনসেবার সুযোগ করে দিয়েছেন।'
বিজেপিতে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার রাজকীয় যোগদান ! কী বললেন নেতা