গেরুয়া সাজে মধ্যপ্রদেশ ফিরছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সাজছে কমনাথের পতনের ঘুঁটি!
কংগ্রেসের সঙ্গে ১৮ বছরের সম্পর্ক ছেদের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন মঙ্গলবারই। এরপর বুধবারই পদ্মশিবিরে নাম লেখান কংগ্রেসের হয়ে ৪ বারের সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আর দলবদলে শিলমোহর পড়তেই এবার নিজ রাজ্যে ঘুঁটি সাজাতে ফিরছেন সিন্ধিয়া। যেই কমলনাথের সঙ্গে মনমালিন্যর জেরে দলবদল করলেন, এবার সেই সরকারকে ফেলতে নিজের অনুগতদের সঙ্গে পরামর্শ করতেই রাজ্যে ফিরছেন সিন্ধিয়া।
সিন্ধিয়ার বিদায়ে কংগ্রেস ছাড়েন ২২ বিধায়ক
কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেওয়ার চিঠিটি সনিয়া গান্ধীকে লিখেছিলেন ৯ মার্চ। একদিন পর, অর্থাৎ হোলির দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এরপরেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় যে গেরুয়া শিবিরেই নাম লেখাতে চলেছেন সিন্ধিয়া। সিন্ধিয়ার ইস্তফার পরই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ১৯ জন বিধায়ক। পরে ইস্তফা দেন আরও বেশ কয়েকজন। মোট ২২ জন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে দেন।
মধ্যপ্রদেশের নাটকে নয়া মোড়
এদিকে মধ্যপ্রদেশে নাটকে নয়া মোড়। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের পদত্যাগী ২২ জন বিধায়কের মধ্যে ১২ জন বিজেপিতে যেতে চান না। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, আমরা মহারাজের সঙ্গে এসেছি, কিন্তু আমরা বিজেপিতে যেতে চাই না। এর ফলে মধ্যপ্রদেশ অঙ্ক বদলাচ্ছে। জানা যায়, এই ১২ বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের বাড়িতে বৈঠকে বসেন।
বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব
তবে কংগ্রেসের এই দাবিতে দমছে না বিজেপি। তারা নিজেদের ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছিল আগেই। তবে সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে বিজেপির অন্দরেই দেখা যায় কলহ। জানা গিয়েছে সেই বৈঠকেই বচসায় জড়ান বিজেপি বিধায়ক নরোত্তম মিশ্রের সমর্থক ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সমর্থকরা। মনে করা হচ্ছে বিজেপি সরকার গঠন করলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেই টানাপোড়েনের জেরেই এই কলহ শুরু হয়।
কংগ্রেস ও কমলনাথকে তোপ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার
এদিন গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়ে জ্যোতিরাদিত্য কংগ্রেস ও ক্ষমতাসীন কমনাথ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, কংগ্রেস বাস্তববোধ থেকে অনেক দূরে রয়েছেন। গোটা পার্টিতে একটা জড়তা রয়েছে। যুবসমাজকেও মানেন না কংগ্রেস নেতৃত্ব। দ্বিতীয়ত জ্যোতিরাদিত্যর দাবি, কংগ্রেস সরকারের একাধিক প্রতিশ্রুতি মানা হয়নি দলের নেতৃত্বের তরফে। কংগ্রেসের দ্বারা মধ্যপ্রদেশে অকের পর এক দুর্নীতি হয়েছে এতে বালি মাফিয়ারাও যুক্ত। এমনই অভিযোগে ক্ষোভ উগড়ে দেন জ্যোতিরাদিত্য।