বিজেপিতে যোগ দিতেই বড় উপহার জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ঝুলিতে!
কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেওয়ার চিঠিটি সনিয়া গান্ধীকে লিখেছিলেন ৯ মার্চ। একদিন পর, অর্থাৎ হোলির দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এরপরেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় যে গেরুয়া শিবিরেই নাম লেখাতে চলেছেন সিন্ধিয়া। আর সেই দলবদলের বিষয়টিতেই আজ শিলমোহর পড়ে। আর এর পরই বিজেপির পক্ষ থেকে বড় উপহার আসে চলে আসে সিন্ধিয়ার ঝুলিতে। রাজ্যসভার টিকিট পেলেন জ্যোতিরাদিত্য।
রাজ্যসভার টিকিট পেলেন জ্যোতিরাদিত্য
আজ দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে দলের সর্বভারতীয় প্রধান জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আর এরপরই মধ্যপ্রদেশ থেকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে রাজ্যসভার টিকিট দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেয় বিজেপি।
রাজ্যসভার টিকিট নিশ্চিত হতেই দলবদল করেছিলেন সিন্ধিয়া
অনুমান, বিজেপির থেকে রাজ্যসভার টিকিট নিশ্চিত হতেই এই দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সিন্ধিয়া। বিজেপির পথে যে তিনি পা বাড়িয়ে দিয়েছেন তা স্পষ্ট হয়ে যায় হোলির দিন সকালেই। মঙ্গলবার সকাল সকাল প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে যান প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধ্যা। সিন্ধিয়া যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মোদীর বাসভবনে ঢোকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। জল্পনা ছিল আগেই। তবে এই ছবি সামনে আসতেই আর সব সন্দেহ চলে যায়। এর পরপরই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ১৯ জন বিধায়ক। পরে ইস্তফা দেন আরও বেশ কয়েকজন। মোট ২২ জন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে দেন।
রাজ্যসভার টিকিট না পেয়েই কংগ্রেস ছাড়েন সিন্ধিয়া!
জানা যায়, এই রাজ্যসভার আসন না পাওয়া নিয়েই মনমালিন্যর জেরে কংগ্রেসের হাইকমান্ড থেকে আরও দূরে সরে যান জ্যোতিরাদিত্য। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার যেই তিনটি আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা। সেখান থেকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠানোর ভাবনা চিন্তা শুরু হয়। তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্যসভায় যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধ্যাও। তবে গান্ধী পরিবারের সদস্যের কাছে তাঁকে হারতে হয়েছে বলেই কংগ্রেস ছাড়তে হল জ্যোতিরাদিত্যকে। এমনই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
বিজেপিতে যোগ দিয়েই কংগ্রেসকে এক হাত নেন সিন্ধিয়া!
যাবতীয় জল্পনার অবসান করে এদিন দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে পৌঁছে পদ্মশিবিরে যোগ দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এদিন গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়ে জ্যোতিরাদিত্য বলেন, কংগ্রেস বাস্তববোধ থেকে অনেক দূরে রয়েছেন। গোটা পার্টিতে একটা জড়তা রয়েছে। যুবসমাজকেও মানেন না কংগ্রেস নেতৃত্ব। দ্বিতীয়ত জ্যোতিরাদিত্যর দাবি, কংগ্রেস সরকারের একাধিক প্রতিশ্রুতি মানা হয়নি দলের নেতৃত্বের তরফে। কংগ্রেসের দ্বারা মধ্যপ্রদেশে অকের পর এক দুর্নীতি হয়েছে এতে বালি মাফিয়ারাও যুক্ত। এমনই অভিযোগে ক্ষোভ উগড়ে দেন জ্যোতিরাদিত্য।