জ্যোতিরাদিত্যের দল পরিবর্তনের সম্ভাবনা জোড়াল, মধ্যপ্রদেশে পালা বদলের সম্ভাবনা
মধ্যপ্রদেশে রাজনৈতিক সংকট। এরই মধ্যে বড় আসতে শুরু করেছে।
মধ্যপ্রদেশে রাজনৈতিক সংকট। এরই মধ্যে বড় আসতে শুরু করেছে। একদিকে যেমন ২০ ক্যাবিনেট মন্ত্রী ইস্তফা দিয়ে কমলনাথকে বলছেন মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে, অন্যদিকে প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা তথা রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপির পথে বলে জানা গিয়েছে। আসন্ন রাজ্যসভার নির্বাচনে তিনি মধ্যপ্রদেশ থেকে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলেও জানা গিয়েছে।
বিজেপি জ্যোতিরাদিত্য বৈঠক
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সোমবার রাতেই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। সেখানেই ঠিক হয়েছে জ্যোতিরাদিত্যের বিজেপিতে যোগ দেওয়া এবং রাজ্যসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা। ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে ভোপাল গিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সি চৌহান এবং নরোত্তম মিশ্র। সোমবার রাতে তাঁরা অমিত শাহের বাড়িতে বৈঠক করেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে হাজির ছিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাও।
সরগরম ভোপাল
জানা গিয়েছে এদিন ভোপালে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক হবে। কমলনাথ সরকারের মন্ত্রিসভায় রদবদল নিয়ে আলোচনা হবে সেখানে। পাশাপাশি বিজেপির পরিষদীয় দলেরও বৈঠক হবে সেখানে। বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে শিবরাজ সিং চৌহানকে বিধানসভায় দলের নেতা নির্বাচিত করা হতে পারে। এছাড়াও বিজেপি কমলনাথ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ছুটি বাতিল করে ভোপালে ফিরেছেন রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন।
বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ কংগ্রেসের
মধ্যপ্রদেশের শাসক কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, বিজেপি কংগ্রেস সরকারকে ফেলতে চাইছে। মধ্যপ্রদেশে খুব স্বল্প সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে কংগ্রেসের। ২৩০ আসনের বিধানসভায় ২২৮ জ-ন সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে কংগ্রেসের ১১৪ জন এবং বিজেপির ১০৭ জন বিধায়ক রয়েছে। এছাড়াও ৪ জন নির্দল, ২ জন বিএসপি এবং একজন সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক রয়েছেন। এই সাতজন কংগ্রেস সরকারকে সমর্থন করছেন।
মধ্যপ্রদেশে রাজ্যসভার ৩ আসনে নির্বাচন
২৬ মার্চ মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় ৩ আসনে নির্বাচন। বর্তমান শক্তি অনুযায়ী, কংগ্রেস ও বিজেপির ১ টি করে আসনে জয় নিশ্চিত। কিন্তু বাকি থাকা অপর আসন নিয়েই লড়াই তুঙ্গে উঠেছে। কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং এবং বিজেপির প্রভাত ঝা এবং সত্যনারায়ণ জাতিয়ার সময় শেষ হচ্ছে। কংগ্রেস বিধায়কদের একাংশ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় পাঠানোর দাবি তুলেছে।