'কংগ্রেস আর আগের মতো নেই'! ৩ শক্তিশেলে হাত শিবিরকে বিঁধলেন জ্যোতিরাদিত্য
'কংগ্রেস আর আগের মতো নেই'! ৩ শক্তিশেলে হাত শিবিরকে বিঁধলেন জ্যোতিরাদিত্য
জ্যোতিরাদিত্য শিবিরের বহুদিন আগে থেকেই দাবি ছিল যে,সোনিয়া-রাহুল কোনওদিনই জ্যোতিাদিত্যের তোলা প্রস্তাবকে পাত্তা দেননি। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের মধ্যে যে ছাই চাপা আগুন জ্বলছিল তা নিয়ে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড কোনও তোয়াক্কাই করেনি। আর তারপরই গত একবছর ধরে কমলনাথ বনাম জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার দ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিতে থাকে। শেষমেশ দল ছেড়ে আজ বিজেপিতে যোগ দিয়ে জ্যোতিরাদিত্য কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক তোপ দাগেন।
'কংগ্রেস আর আগের মতো নেই'
সোনিয়া গান্ধীকে পাঠানো ইস্তফাপত্রেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দাবি করেছিলেন যে, তিনি পার্টিতে থেকে আর কাজ করতে পারছেন না। আর এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, কংগ্রেস ৩ দিক থেকে আটকে রয়েছে। এরপরই তিনি বলেন, 'কংগ্রেস পার্টি আর আগের মতো নেই।'
কংগ্রেসকে ৩ দিক থেকে আক্রমণ
এদিন জ্যোতিরাদিত্য বলেন, কংগ্রেসে থেকে তিনি ১৮ বছর ধরে মানব সেবা ও রাষ্ট্রসেবার কাজ করতে চেয়েছেন । তবে তা আর করতে পারছেননা দলের মধ্যে থেকে। তিনি বলেন, কংগ্রেস বাস্তববোধ থেকে অনেক দূরে রয়েছে। সেখানে যুব নেতাদের এগিয়ে আনা হয়না। এমনকি যুবনেতাদের কাজের সুযোগও কম হয়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি কংগ্রেস নেতৃত্ব একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা মানে না। যার নেপথ্যে রয়েছে দুর্নীতি।
যুব নেতাদের প্রসঙ্গ ঘিরে কংগ্রেসকে তোপ
এদিন ক্ষোভের সুরে জ্যোতিরাদিত্য বলেন, বাস্তব থেকে বারবার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। এছাড়াও পার্টিতে যুব নেতাদের এগিয়ে দেওয়া হয়না বলেও ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। উল্লেখ্য, যুবনেতা বনাম বর্ষীয়ান নেতার দ্বন্দ্ব নিয়ে এদিন মুখ খুলে ফের একবার তাঁর ও কমল নাথের যুদ্ধকেই ইঙ্গিত করেন জ্যোতিরাদিত্য। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেসের জয়ের কাণ্ডারী জ্যোতিরাদিত্যকে সরিয়ে কমল নাথকে মুখ্যনমন্ত্রীর আসন দেওয়া হতেই ক্ষোভ বাড়ে সিন্ধিয়া শিবিরে। সেই সময় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড তরুণ তুর্কী সিন্ধিয়ার কথায় তোয়াক্কা না করে বর্ষীয়ান কমল নাথকে মুখ্যমন্ত্রিত্বের জন্যেছে নেন। যে প্রসঙ্গকেই কার্যত এদিন তুলে ধরেন জ্যোতিরাদিত্য।
মোদীর ভূয়সী প্রশংসা
এদিন কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন । তিনি বলেন, ভারত এই মুহূর্তে মোদীর হাতে সুরক্ষিত। তাঁর দাবি, কোনও পার্টি এভাবে পর পর দুটি বার দেশের শাসক দল হিসাবে উঠে আসা ও এমন সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে উঠে আসা একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। আর মোদীর নেতৃত্বেই ভারত এগিয়ে চলেছে। আর তাঁর নেতৃত্বেই জ্যোতিরাদিত্যও নিজের জনসেবায় এগিয়ে যেতে চান বলে দাবি করেন।
বিজেপি পরিবারে সামিল করার জন্য মোদী, অমিত শাহকে ধন্যবাদ জ্যোতিরাদিত্যর