কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে জ্যোতিরাদিত্য কেন ক্ষুব্ধ! বিজেপিতে যোগ দিয়ে জানালেন সিন্ধিয়া
কমল নাথ সরকারের বিরুদ্ধে জ্যোতিরাদিত্য ক্ষুব্ধ কেন! বিজেপিতে যোগ দিয়েই জানালেন সিন্ধিয়া
যাবতীয় জল্পনাকে শেষ করে শেষমেশ ১১ মার্চ দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে সভাপতি জেপি নাড্ডার হাত থেকে বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ করলেন সিন্ধিয়া রাজবংশের সন্তান জ্যোতিরাদিত্য। কংগ্রেসের সঙ্গে ১৮ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে মঙ্গলবারই তিনি পার্টি থেকে ইস্তফা দেন। তারপর আজ বিজেপিতে যোগ দিয়েই তিনি পরোক্ষে জানিয়ে দেন যে , কমল নাথ সরকারের সঙ্গে তাঁর সমস্যা কোথায় হচ্ছিল।
উঠল বাবা মাধব রাও সিন্ধিয়ার প্রসঙ্গ
এদিন, বিজেপিতে যোগ দিয়েই জ্য়োতিরাদিত্য সিন্ধিয়া মোদী, শাহ সহ একাধিক নেতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারপর তিনি বলেন, ' আমার জীবনে দুটি দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ , যা আমার জীবন পাল্টে দিয়েছে.. একটি আমার বাবার মৃত্যুদিন .. আর আরেক একটি দিল.. গতকাল। যেদিন আমি ঠিক করি যে বিজেপিতে যোগ দেব।' উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিমান দুর্ঘটনায় জীবনাবসান হয় মাধব রাও সিন্ধিয়ার। তারপর কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে পা রাখেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
কোন বিষয়ে কমল নাথ সরকারের ওপর ক্ষোভ জ্যোতিরাদিত্যর?
উল্লেখ্য, কমল নাথের সঙ্গে জ্যোতিরাদিত্যর রাজনৈতিক সমস্যার জেরেই দল ছেড়েছেন সিন্ধিয়া রাজ বংশের সন্তান। এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েই জ্যোতিরাদিত্য বলেন, কংগ্রেসের সরকার যা যা প্রতিশ্রুতি মধ্যপ্রদেশে দিয়েছিল, তা পূরণ করতে পারছে না। কৃষি ঋণ থেকে শুরু করে বেকারদের চাকরি কোনও ক্ষেত্রেই কংগ্রেস সরকার নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণ করছেন না।
কমল নাথ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
এছাড়াও এদিন কমল নাথ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন জ্যোতিরাদিত্য। তিনি বলেন, মধ্যপ্রদেশে একাধিক দুর্নীতি চলছে। আর সেই দুর্নীতি ঘিরে ঘুঘুর বাসা হয়ে রয়েছে আমলাতন্ত্র। একাধিক আমলার বদলি নিয়েও সেরাজ্য়ে রাজনীতি চলছে বলে খবর। এছাড়াও বালি মাফিয়াদের রমরমা নিয়েও মুখ খোলেন জ্যোতিরাদিত্য।
আমলাদের বদলি প্রসঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশের রাজনীতি
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশে আমলাদের বদলি নিয়েই জ্যোতিরাদিত্য ও কমল নাথের মধ্যে গত বছর থেকে বিবাদ তুঙ্গে ছিল। যা মেটাতে চেষ্টা করেও পারেননি রাহুল। দুই নেতাদের নিয়ে এক ধনী ব্যবসায়ীর বাড়িতে নৈশভোজেও বসেন তিনি। কিন্তু বরফ গলাতে পারেননি। যার পর ২০২০ সাল পড়তেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন জ্যোতিরাদিত্য।