'ইটস টাইম টু মুভ অন', সোনিয়াকে কড়া চিঠি লিখে দল ছাড়লেন জ্যোতিরাদিত্য
'ইটস টাইম টু মুভ অন', সোনিয়াকে কড়া চিঠি লিখে দল ছাড়লেন জ্যোতিরাদিত্য
চিঠিতে তারিখ রয়েছে ৯ মার্চের। আর বিভিন্ন সূত্রের খবর, ১০ মার্চ মধব রাও সিন্ধিয়ার জন্মদিনের দিন সকালে দিল্লি গিয়ে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই ইস্তফাপত্র জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া পাঠিয়ে দেন কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে। এই চিঠিতে কড়া ভাষায় সোনিয়াকে কী লিখেছেন জ্যোতিরাদিত্য।
সোনিয়াকে চিঠিতে কী লিখেছেন জ্যোতিরাদিত্য?
' সময় এসেছে এগিয়ে যাওয়ার', এমনই বার্তা দিয়ে এদিন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি পাঠিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৮ ডিসেম্বরে কংগ্রেসে যোগদানের পর এদিন কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন গোয়ালিয়ারের সিন্ধিয়া রাজবংশের সন্তান জ্যোতিরাদিত্য। আর গত ১৮ বছর ধরে কংগ্রেসে থাকার পর তাঁর কী পরিস্থিতি হয় , সেই কথা তিনি ঘোষণা করেন চিঠিতে।
সোনিয়াকে কড়া চিঠি
'আমি আমার ইস্তফা পেশ করছি কংগ্রেস পার্টির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে। ..' গত একবছর ধরে তিনি যে কংগ্রেসের মধ্যে দমবন্ধ করা পরিস্থিতিতে ছিলেন , তাও জানাতে ভোলেননি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। উল্লেখ্য, এখানেই তিনি মধ্যপ্রদেশে দলের মধ্যে কোন্দলের প্রসঙ্গটি পরোক্ষে উল্লেখ করেন।
কংগ্রেসে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল!
নিজের ইস্তফাপত্রে জ্যোতিরাদিত্য সাফ জানিয়েছেন যে,কংগ্রেসে থেকে তিনি কাজ করতে পারছেন না। তিনি নিজের চিঠিতে লেখেন, 'আমার লক্ষ্য প্রথম থেকেই একই ছিল। মানুষের জন্য কাজ করা। আমার দেশ ও রাজ্যের মানুষের জন্য কাজ করার লক্ষ্য ছিল। আর পার্টিতে থেকে সেই কাজ আমি করতে পারছিলাম না।'
'নতুন শুরু'র দিকে জ্যোতিরাদিত্য
নিজের ইস্তফাপত্রে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সোনিয়াকে জানিয়েছেন যে,.যে সমস্ত কাজ তিনি নিজের এলাকাবাসীর জন্য করতে চাইছেন তা তিনি করতে পারছেন না। একইভাবে তাঁর সহকর্মীরাও এই পার্টিতে থেকে কাজ করে সুখ পাচ্ছেন না। এরপর তিনি লেখেন, ' এটা সেরা সময় যে আমি সামনের দিকে তাকাই। আর নতুনভাবে শুরু করি..। '
কমল নাথ ও জ্যোতিরাদিত্যের দ্বন্দ্ব
মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য বনাম কমল নাথের অন্তর্দ্বন্দ্ব বহুদিনের। গত মাসেও দুই নেতার মধ্যে ঝামেলা প্রকাশ্যে আসে। বিধানসভা ভোট মধ্যপ্রদেশে জিতে, জ্যোতিরাদিত্য শিবির মনে করেছিল তাদের নেতা, সিন্ধিয়া পরিবারের সন্তানই মধ্যপ্রদেশের তখতে বসতে চলেছেন। তাতে বাধ সাধে কংগ্রেস হাইকমান্ড। কংগ্রেস জানিয়ে দেন বর্ষীয়ান কমলনাথই এই আসন পাবেন। আর সেই ২০১৮ সাল থেকেই এই ইস্যুতে মনক্ষুণ্ণ জ্যোতিরাদিত্য শিবির।
মধ্যপ্রদেশের বিধায়ক-অঙ্ক কোনপথে
মধ্যপ্রদেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে ২৩১ জনের বিধানসভায় মধ্যপ্রদেশে ১১৪ জন কংগ্রেস বিধায়ক, ১০৭ জন বিজেপি, বিএসপি ২, এসপির একজন বিধায়ক রয়েছেন। আর এই মুহূর্তে জ্যোতিরাদিত্যর সঙ্গে রয়েছেন ১৪ জন বিধায়ক। ফলে এই ১৪ জন বিধায়ক যদি বিজেপির সঙ্গে চলে আসেন, তাহলে প্রবল সংকট হতে পারে কংগ্রেসের। কারণ ইতিমধ্যেই ১৪ জন কংগ্রেস বিধায়ক পার্টি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
মধ্যপ্রদেশে সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ আরও ১৯ বিধায়কের পদত্যাগ! কর্নাটক মডেলে কমলনাথের পতন সময়ের অপেক্ষা