দেশের ৪৯ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন Uday Umesh Lalit
তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের দেশের ৪৯ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন উদয় উমেশ ললিত। বিচারপতি ললিতের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপস্থিত ছ
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন Uday Umesh Lalit। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের দেশের ৪৯ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত। বিচারপতি ললিতের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।
আগামী ৭৫ দিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে থাকবেন তিনি। আর এরপর দেশের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব সামলাবেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। বিচারপতি চন্দ্রচুড়ের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এমনকি তাঁর একটি কলকাতা যোগ রয়েছে বলেও শোনা যায়।
আইন জগতে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে
আইন জগতে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের। আর সেই অভিজ্ঞতাকেই দেশের কাজে তিনি লাগাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনকি বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতও একাধিক ঐতিহাসিক মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে একাধিক ঐতিহাসিক নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ললিত। সেই তালিকায় তিন তালাককে অবৈধ এবং অসাংবিধানিক হিসাবেও উল্লেকজ করেছিলেন এই বিচারপতি।
আইনজীবীর পরিবার থেকেই উঠে এসেছেন
বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত মুম্বইয়ের গর্ভমেন্ট ল কলেজ থেকে পড়াশুনা করেছেন। ক্রিমিনাল বিচারের বিশেষত্ব রয়েছে বিচারপতির। ১৯৫৭ সালের ৯ নভেম্বর জন্মগ্রহণ। এরপর অ্যাডভোকেট হিসাবে তালিকাভুক্ত হলে ১৯৮৩ সালের জুন মাসে। বম্বে হাইকোর্টে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ছিলেন। একজন আইনজীবীর পরিবার থেকেই উঠে এসেছেন বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত। তাঁর বাবা ইউআর ললিত একজন অভিজ্ঞ অ্যাডভোকেট ছিলেন। এমনকি বিচারপতি হিসাবেও কাজ সামলেছেন। ফলে আইনজীবী হিসাবে বিচারপতি ললিতের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
অ্যাটোর্নি জেনারেল হিসাবে কাজ করেছেন
এরপর জানুয়ারি ১৯৮৬ সালে দিল্লিতে প্রেকটিসের জন্যে চলে আসেন। কর্মজীবনের ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত প্রাক্তন অ্যাটোর্নি জেনারেল Soli Sorabjee-এর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের।
একের পর এক হাই প্রোফাইল মামলা
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসাবে কাজ শুরু করেন। সিবিআইয়ের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর হিসাবে নিযুক্ত হন। 2G spectrum allocation কেসে যুক্তও ছিলেন। এমনকি সলমন খানের বিরুদ্ধে black buck case, সিধুর বিরুদ্ধে এমনকি পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের দুর্নীতির বিরুদ্ধে থাকা মামলাতে সিবিআইয়ের হয়ে সওয়াল করেছেন বিচারপতি। এরপর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিয়াবে ২০১৪ সালের ১৩ অগাস্ট নিযুক্ত হন। এমনকি অযোধ্যা সংক্রান্ত একটি মামলাতে বিচারপতিদের বেঞ্চের অংশ ছিলেন বিচারপতি ললিত। যদিও পরবর্তীকালে নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি।