সুপরিকল্পিত ভাবে ধ্বংস করা হয়েছিল বাবরি মসজিদ, ফের দাবি তদন্তকারী জাস্টিস লিবারহানের
বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়ার পরে ১৯৯২ সালেই গঠিত হয়েছিল একটি তদন্ত কমিশন। সেই কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন জাস্টিস মনমোহন সিং লিবারহান। সেই বিচারপতি লিবারহান এদিন ফের মুখ খুললেন বাবরি ধ্বমস মামলায় রায়দানের পর। আর এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা লিবারহান জানান যে তিনি এখনও বিশ্বাস করেন যে এই ঘটনা সুপরিকল্পিত ছিল।
ষড়যন্ত্রের জেরে ভেঙেছিল বাবরি মসজিদ
বুধবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত বাবরি মামলায় রায় ঘোষণা করার পর জাস্টিস লিবারহানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, 'আমার আজও স্পষ্ট মনে আছে যে আমার তদন্তে আমি খুঁজে পেয়েছিলাম যে এই ঘটনা একটি ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের ফলে হয়েছিল।'
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনাটি সুপরিকল্পিত
জাস্টিস লিবারহান আরও বলেন, 'এই বিষয়ে আমার মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ ছিল না যে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনাটি সুপরিকল্পিত ভাবে ঘটানো হয়েছিল। আমার স্পষ্ট মনে আছে যে উমা ভারতী সেই সময় নিজের দোষ স্বীকার করে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়েছিলেন সেই ঘটনার।'
২০০৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল লিবারহান কমিশনের রিপোর্ট
২০০৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল লিবারহান কমিশনের রিপোর্ট। কমিশনের পেশ করা প্রতিবেদনে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পেছনে বিজেপির শীর্ষ রাজনীতিবিদদের ভূমিকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল। রিপোর্টটি প্রকাশ পেতেই সেই সময় এনিয়ে সংসদে হট্টগোল হয়েছিল বিস্তর। এবং এদিন বাবরি মামলার রয়দানের পরও জাস্টিস লিবারহান দাবি করেন, অভিযুক্ত নেতারা সকলেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
৩২ জনকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করে সিবিআই বিশেষ আদালত
যদিও বুধবার অভিযুক্ত ৩২ জনকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করে সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক বলেছিলেন, 'বাবরি মসজিদ ধ্বংস পূর্ব-পরিকল্পিত নয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ নেই। সিবিআই-এর পেশ করা ভিডিও এবং অডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি। যারা গম্বুজের চূড়ায় উঠেছিল, তারা সমাজ-বিরোধী ছিল। তবে সভাস্থলে নেতাদের দেওয়া বক্তৃতার অডিও স্পষ্ট নয়।'
সমালোচনার ঝড় বিরোধী শিবিরে
এদিকে বাবরি মসজিদের রায় ঘোষণার পরেই সমালোচনার ঝড় বিরোধী শিবিরে। লখনউয়ের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের রায়কে অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দেয় কংগ্রেস। আইন ব্যবস্থার প্রহসন বলে কটাক্ষ করে বাম নেকারা। হায়দরাবাদের সাংসদ তথা এআইএমআইএম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ভারতীয় আইনের ইতিহাসে আজ দুঃখের দিন।