অযোধ্যা মামলা বেঞ্চের একমাত্র মুসলিম বিচারপতি নাজিরকে জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দিচ্ছে কেন্দ্র
সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি এস আবদুল নাজিরকে জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। প্রসঙ্গত, অযোধ্যা মামলার দায়িত্বে থাকা সাংবিধানিক বেঞ্চের একমাত্র মুসলিম বিচারপতি ছিলেন তিনি। ৯ নভেম্বর অযোধ্যা বিবাদ মামলার রায় ঘোষণার পরই বিচারপতি নাজিরের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে রিপোর্ট জমা দেয় গোয়েন্দারা। রিপোর্টে জানানো হয়, বিচারপতি ছাড়াও তাঁর পরিবারের উপর হামলার ছক কষছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া নামে এক সংগঠন।
বিচারপতি নাজিরকে জেড নিরাপত্তা
এই রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বররাষ্ট্র মন্ত্রক ইতিমধ্যেই সিআরপিএফ ও স্থানীয় পুলিশকে বিচারপতি নাজির ও তাঁর পরিবারের সুরক্ষা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। তাঁকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকরী করার কথাও বলা হয়েছে। কর্নাটক ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকা তাঁর পরিবারের সব সদস্যের নিরাপত্তার উপর নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কর্নাটকে থাকা তাঁর পরিবরাকেও জেড নিরাপত্তা
কর্নাটক কোটায় থাকা জেড নিরাপত্তা দেওয়া হবে বেঙ্গালুরু ও ম্যাঙ্গালুরুতে থাকা আব্দুল নাজিরের পরিবারের সদস্যদের। পাশাপাশি বিচরাপতি নাজির নিজে যখন কর্নাটকে যাবেন, তাঁকেও এই নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। অযোধ্যা মামলা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ তিন তালাক মামলায় সাংবিধানিক বেঞ্চের বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন আব্দুল নাজির। তিন তালাক মামলায় তিনি সংখ্যালঘু রায় দিয়েছিলেন।
সর্বসম্মতিক্রমে ঘোষণা করা হয় অযোধ্যা রায়
৯ নভেম্বর বহু প্রতিক্ষিত অযোধ্যা জমি বিতর্কের রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিমকোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়ে সর্বসম্মতিক্রমে বিবাদের মূলে থাকা ২.৭৭ একর জমিটি হিন্দুদের দেওয়ার কথা বলা হয়। এবং তা তৈরির জন্য তিনমাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে ট্রাস্ট গঠন করতে হবে বলেও জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানায়, ১৯৯২ সালে মসজিদ ভাঙা বেআইনি ছিল।
তথ্যের ভিত্তিতে রায় ঘোষণা
আদালতের ১০৪৫ পাতার রায়তে বলা হয়, জমির উপর মালিকানার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিমদের দেওয়া প্রমাণের চেয়ে আরও ভালো প্রমাণ দিয়েছিল হিন্দু পক্ষ। জমির মালিকানা কখনও বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দেওয়া যায় না। মালিকানা স্থির করতে দরকার প্রমাণ। তাই বিতর্কিত জমি মন্দিরের জন্য হস্তান্তর করা হচ্ছে।