গুজরাতে গরুর মূত্রে বিশুদ্ধ সোনা পেলেন বিজ্ঞানীরা
আহমেদাবাদ, ২৮ জুন : গুজরাতের গির এলাকায় গরুর মূত্রে সোনার অস্তিত্ব পেলেন বিজ্ঞানীরা। চার বছরের কঠিন গবেষণার পরে জুনাগড় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা অবশেষে সাফল্য পেয়েছেন বলে খবর। [গো-বলয়ে মদ্যপ প্রৌঢ়ের হাতে ধর্ষিত গোয়াল পালানো 'গরু']
জানা গিয়েছে, ৪০০টি গরুর মূত্রের নমুনা নিয়ে তা পরীক্ষা করার পরে প্রতি লিটার মূত্রে গড়ে ৩ থেকে ১০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত সোনা মিলেছে। এটি জলে মিশে যেতে পারে। যার আক্ষরিক নাম 'গোল্ড সল্ট'। [বাছুরের সঙ্গে যৌন সংসর্গ করে এইমসে ভর্তি যুবক]
জুনাগড় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের গবেষকরা এই গোমূত্রকে 'গ্যাস ক্রোমাট্যোগ্রাফি-মাস স্পেকট্রোমেট্রি' পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করেছেন। এই মূত্র থেকে সোনা সংগ্রহ করে তাকে একত্রে কঠিন আকারও দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। [গরুর হৃৎপিন্ডে নতুন প্রাণ ফিরে পেলেন ৮১ বছরের বৃদ্ধা]
পুরাণশাস্ত্রে গোমূত্রে সোনা পাওয়ার উল্লেখ রয়েছে। তবে তার কোনও সঠিক ব্যাখ্যা না থাকায় নানা ধোঁয়াশা ছিল। এই বিষয়ে গবেষণার জন্য গোমূত্র পরীক্ষা ও গবেষণার সিদ্ধান্ত নেন জুনাগড় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। ['প্রফেশনাল কোর্স'-এর পরীক্ষায় অ্যাডমিট কার্ড পেল 'গরু'!]
গরুর ছাড়াও উট, ষাড়, ভেড়া ও ছাগলের মূত্র সংগ্রহ করা হয়। তবে গরুর মূত্র বাদে আর কারও মূত্রে সোনা মেলেনি। গির এলাকার গরুর মূত্রে সোনা ছাড়াও ৫১০০ রকমের যৌগ মিলেছে। এর মধ্যে ৩৮৮টি যৌগের ঔষধী মূল্য অত্যন্ত বেশি। দুরারোগ্য ব্যাধি সারাতে এগুলি বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে।
এবার দেশজুড়ে ৩৯টি প্রজাতির গরুর উপরে গবেষণা ও তাদের মূত্র পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।