অমিত শাহ পদ হারাচ্ছেন! বিজেপির শীর্ষপদে এবার কার আগমন ঘটতে চলেছে
বিজেপির সভাপতি পদে আসছে পরিবর্তন। অমিত শাহের জায়গায় আসছেন নয়া সভাপতি। রাজ্যের পাশাপাশি সর্বভারতীয় সভাপতি পদেও এই পরিবর্তন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিজেপির সভাপতি পদে আসছে পরিবর্তন। অমিত শাহের জায়গায় আসছেন নয়া সভাপতি। রাজ্যের পাশাপাশি সর্বভারতীয় সভাপতি পদেও এই পরিবর্তন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উত্তরাধিকারী হিসেবে দলীয় সভাপতি পদে বেছে নেওয়া হতে পারে জেপি নাড্ডাকে।
অমিতের জায়গায় নতুন সভাপতি
অমিত শাহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই তাঁর জায়গায় নতুন সভাপতি আনার কথা শুরু হয়। কিন্তু তখনই পূর্ণ দায়িত্ব না দিয়ে অমিতকে মাথায় বিসে রেখে কার্যনির্বাহী সভাপতি করা হয়েছিল জেপি নাড্ডাকে। নতুন বছরে রাজ্য রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক রদবদলের পরই কেন্দ্রেও নতুন সভাপতির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ভার।
বিজেপিতে নতুন সভাপতি নির্বাচন
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপিতে নতুন সভাপতি নির্বাচন হবে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ মেনেই। নাড্ডা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন বলে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। আগামী ২০ শে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হতে পারে জেপি নাড্ডার নাম।য তাঁকে অমিত শাহের স্থলাভিষিক্ত করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত।
মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় অমিত
বিজেপি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভের পরে মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় সুযোগ পান অমিত শাহ। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন। তারপর ২০১৯-এর জুলাইয়ে নাড্ডাকে দলের কার্যকরী সভাপতি হিসাবে নিয়োগ করা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি অমিত শাহ সভাপতির দায়িত্বও সামলাচ্ছিলেন।
নাড্ডার কাঁধে এবার গুরুদায়িত্ব
২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে নাড্ডা রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তরপ্রদেশে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন। সেখানে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং বহুজন সমাজ পার্টির মহাজোটের বিরুদ্ধে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েও সাফল্য এনে দিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয় লাভ করে।
বিজেপির শীর্ষপদে বসতে চলেছেন নাড্ডা
সাধারণ নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য পরিচালনা করা ছাড়াও নাড্ডা মোদী সরকারের প্রথম মন্ত্রিপরিষদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছিলেন এবং বিজেপির সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী শীর্ষ সংসদীয় বোর্ডের সদস্যও ছিলেন। এবার তিনি বিজেপির শীর্ষপদে বসতে চলেছেন।