মহারাষ্ট্রে একলা চলো নীতিতেই হাঁটবে পদ্ম শিবির? সেনা-বিজেপি সম্ভাব্য জোট নিয়ে জল্পনা নাড্ডার কথায়
ফের একবার মহারাষ্ট্রের সরকারে থাকা মহা বিকাশ আঘআড়ি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। পাশাপাশি তিনি বিজেপির মহারাষ্ট্রের ইউনিয়টকে এই নির্দেশ দিলেন যাতে ভবিষ্যতে কোনও ভাবেই সেরাজ্যে সরকার গঠন করতে অন্য কারোর সাহায্য না নিতে হয় বিজেপিকে।
দীর্ঘ ৩০ বছরের সম্পর্কে বিচ্ছেদ
এর আগে গতবছরের নির্বাচনে একসঙ্গে লড়াই করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেও পরে মুখ্যমন্ত্রিত্বের কুরসি নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে দীর্ঘ ৩০ বছরের সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে বিজেপি ও শিবসেনার। সেই সময় মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় ফেরা মুশকিল জেনেই রাতারাতি রাজভবনে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশ।
মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক খিচুড়ি
এনসিপির অজিত পাওয়ারের সমর্থন নিয়ে রাতারাতি ফড়নবীশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ চমকে দিয়েছিল দেশের রাজনৈতিক মহলকে। যদিও তিন দিনের মধ্যেই পদত্যাগ করেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে আস্থাভোট করতে বলার এক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করেন ফড়নবীশ। পরে সরকার গঠন করে শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপি জোট। সেই সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রীও হন অজিত পাওয়ার।
বিজেপিকে বিরোধীদের তোপ
সেই সময় যেভাবে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছিল মহারাষ্ট্রে সেটা নিয়ে সরব হয়েছিল গোটা দেশের বিরোধী দলগুলি। তাদের বক্তব্য ছিল, যা ঘটেছে তা অনৈতিক। কারণ বিরোধীদের সুযোগ না দিয়েই রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেন। হঠাৎ করে ভোর ৫টা রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করা হয়। তারপরেই রাতারাতি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন ফড়নবীশ।
সেনা-বিজেপি জোটের ভবিষ্যৎ কী?
সেই ঘটনার পর মুম্বইয়ের তটে আছড়ে পড়েছে আরব সাগরের অসংখ্যা ঢেউ। মাঝে নির্বাচনী জটিলতার জেরে মুখ্যমন্ত্রিত্বের কুরসি হারাতে বসেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তবে মোদীর সঙ্গে উদ্ধবের সাক্ষআতের পরই সব ঠিক হয়ে যায়, বিধান পরিষদের নির্বাচনের দিনক্ষণও ঘোষণা হয়ে যায়। এর ফলে মনে করা হয়েছিল ফের কাছাকাছি আসছে বিজেপি-সেনা। তবে নাড্ডার সাম্প্রতিক এই বক্তব্যে চিড় যে কাছাকাছি সময়ে জোড়া লাগবে না, তা স্পষ্ট।