Joshimath: 'বসবাসের অযোগ্য জোশীমঠ', আরও ৬৮টি বাড়িতে ফাটল, আজ পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল
Joshimath: 'বসবাসের অযোগ্য জোশীমঠ', আরও ৬৮টি বাড়িতে ফাটল, আজ পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল
আরও বাড়ছে ফাটল। শেষ পর্যন্ত জোশী মঠকে বিপর্যয় প্রবণ এলাকা ঘোষণা করে বসাবসের অযোগ্য বলে জানানো হয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোটা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করে। তারপরেই আজ সেখানে পরিদর্শনে যাচ্ছে এক প্রতিনিধি দল। তাকে কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি।
আবারও ফাটল জোশী মঠে
আবার নতুন করে ফাটল দেখা দিচ্ছে জোশী মঠের একাধিক বাড়িতে। নতুন করে ৬৮টি বাড়িতে ফাটল তৈরি হয়েছে। সেই বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নতুন করে বাড়ছে আতঙ্ক। পরিস্থিতি সামাল দিতে উত্তরাখণ্ড সরকার উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই জোশীমঠের ২০০০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জোশীমঠের একাধিক জায়গায় সড়কেও ফাটল ধরেছে। ভারত-চিন সীমান্তের সংযোগকারী রাস্তাতেও ফাটল ধরেছে বলে জানা গিয়েছে।
বসবাসের অযোগ্য জোশীমঠ
জোশীমঠকে বসবাসের অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জোশীমঠের পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি উত্তরাখণ্ড সরকারকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সোমবারই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠে পরিদর্শন করবে। সেই প্রতিনিধি দলে জাতীয় বিপর্যট মোকাবিলা দলের প্রতিনিধিও থাকবে বলে জানা গিয়েছে। কয়েকদিন আগেই জোশীমঠের পরিস্থিতিতে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হিমালয়ের গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে জোশীমঠ
হঠাৎ করে উত্তরাখণ্ডের এই শহরের একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে উত্তরাখণ্ডের অন্যান্য দায়গাতেও। ভূবিজ্ঞানীদের দাবি ক্রমশ হিমালয়ের গর্ভে তলিয়ে যাবে জোশীমঠ। অপরিকল্পিত নির্মাণ এবং ভূগর্ভস্থ প্লেটের সরণের কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ধীরে ধীরে জোশীমঠ অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে বলে বলে জানিয়েছেন ভূবিজ্ঞানীরা। অবিলম্বে সেখান থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
অপরিকল্পিত নির্মাণেই এই সংকট জোশীমঠে
অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণেই জোশীমঠের এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এমনকী সেখানকার বাসিন্দারাও এর জন্য এনমটিপিসির বিদ্যৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরিকেই দায়ী করেছে। এনটিপিসি বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য পাহাড় কেটেছিল। তার জেরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০০০ জনকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার জন্য এনটিপিসিকে বলা হয়েছে। যদিও এনটিপিসি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।