মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তবে ভারতেরই লোক! জেনে নিন এর পেছনের অজানা গল্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তবে ভারতেরই লোক
সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দূর সম্পর্কের আত্মীয় থাকেন এই ভারতেই। এমনকী এ বিষয়ে ২০১৩ সালে এবং ফের ২০১৫ সালে নিজেই জানিয়েছিলেন জো বাইডেন। মঙ্গলবার বাইডেনের সেই আত্মীয়রা দাবি করেছেন যে তাঁরা ১৮৭৩ সাল থেকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে রয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে যখন বাইডেন ভাইস–প্রেসিডেন্ট ছিলেন সেই সময় এক অনুষ্ঠানে এসে জানিয়েছিলেন যে তাঁর দূর সম্পর্কের কিছু আত্মীয় ভারতের বাণিজ্য রাজধানীতে থাকেন।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে চাকরি করতেন বাইডেনের পূর্বপুরুষ
২০১৩ সালে ভাইস-প্রেসিডেন্ট থাকার সময় জো বাইডেন মুম্বইয়ে একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন এবং ২০১৫ সালে ওয়াশিংটনের একটি অনুষ্ঠানে, উভয় জায়গাতেই বাইডেন জানিয়েছিলেন যে ১৯৭২ সালে মার্কিন সিনেটে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ভারত থেকে এক বাইডেনের চিঠি পান এবং সেখান থেকেই তিনি জানতে পারেন যে তাঁর পূর্বপুরুষ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে কাজ করতেন। ওই চিঠিটি লিখেছিলেন নাগপুরের বাসিন্দা লেসলি বাইডেন, যাঁর নাতি-নাতনিরা নাগপুরে থাকেন এবং তাঁরা দাবি করেছেন যে ১৮৭৩ সাল থেকে নাগপুরে পাকাপাকি বাস তাঁদের।
ভারত লজ ও ক্যাফের ম্যানেজার ছিলেন লেসলি বাইডেন
লেসলির নাতনি সোনিয়া বাইডেন ফ্রাঞ্চিস, যিনি নাগপুরের এক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, তিনি বলেন, ‘বাইডেনরা নাগপুর ছাড়াও অন্যান্য জায়গাতেই রয়েছেন।' যাঁরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়ের পর অত্যন্ত আনন্দিত। সোনিয়া জানান, লেসলি বাইডেন নাগপুরের আদি বাসিন্দা এবং তিনি ভারত লজ ও হস্টেল এবং ভারত ক্যাফের ম্যানেজার ছিলেন। ১৯৮৩ সালে লেসলির মৃত্যু হয়। সোনিয়া বলেন, ‘১৯৮১ সালের ২৮ এপ্রিল এক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনের মার্চ মাসের ইস্যু পরার পর লিসলে মার্কিন সেনেট জো বাইডেনের বিষয়ে জানতে পারেন। ১৯৮১ সালে ১৫ এপ্রিল লিসলে চিঠির মাধ্যমে জো বাইডেনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন। ওই সালের ৩০ মে জো চিঠির উত্তর দেন। জো লিখেছিলেন তিনি এআ শোনার পর খুবই খুশি হয়েছেন যে ভারত থেকে তাঁকে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং বাইডেনের বংশ পরিচয় নিয়েও আলোচনা হয়।'
লেসলি–জো বাইডেনের চিঠি আদান–প্রদান
সোনিয়ার বড় ভাই লান বাইডেন (৪৪) যিনি প্রাক্তন সামুদ্রিক ছিলেন মার্চেন্ট নেভির, তিনিও নাগপুরে থাকেন। তিনি জানিয়েছেন যে লেসলি ও জো বাইডেন নিজেদের পূর্বপুরুষ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন, উভয়েরই একই পূর্বপুরুষ জন বাইডেন ও তাঁর স্ত্রী আ্যানে বিউমন্ট ছিলেন। লেসলির আর এক নাতনি রোয়েনা, যিনি নাগপুরেই থাকেন, তিনি বলেন, ‘লেসলি ও জো বাইডেন একে-অপরের সঙ্গে এই তথ্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন উভয়কে এবং একে-অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন। যদিও লেসলির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং তিনি ১৯৮৩ সালে নাগপুরেই মারা যান। লেসলির স্ত্রী এরপর পরিবারের গাছটি আর অনুসরণ করতে পারেনি।' বাইডেন পরিবারের পক্ষ থেকে জো ও লেসলির চিঠিও দেখানো হয়।
বাইডেনের ছড়িয়ে রয়েছেন ভারতে
নাগপুরে বাইডেন পরিবারকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে তাঁরা কি যোগ দেবেন জানুয়ারিতে যখন জো বাইডেন হোয়াইট হাউসের দায়িত্বে আসবেন? পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন ৭৭ বছরের বাইডেনের সঙ্গে তাঁদের শুভেচ্ছা রয়েছে। সোনিয়া বলেন, ‘নাগপুর, মুম্বই, নিউজিল্যান্ড ও আমেরিকা থেকে বাইডেনরা একত্রিত হয়েছিলেন ২০১৮ সালে লেসলির নাতি লেসি ডেভিড বাইডেনের বিয়েতে।' লেসলি বাইডেনের বংশধররা নাগপুর, মুম্বই, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে থাকেন। লেসলির পুত্রবধূ সহ বাইডেনরা নাগপুরে থাকেন। লেসলির মেয়ে এভিলাইন মজুমদার, নাতি ডানকান বাইডেন এবং নাতনি শ্রেল ডিউইল্টজ মুম্বইয়ে থাকেন বলে জানিয়েছেন সোনিয়া। মুম্বইয়ে বাইডেনরা ১৯৭১ সাল থেকে রয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র দফতর, পুলিশও দলবাজিতে যুক্ত! 'প্রমাণ' দিয়ে ফের মমতার সরকারের বিরুদ্ধে সরব ধনখড়