জনসংখ্যার অনুপাতে চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ! ছত্তিশগড়ে কোটা পৌঁছতে পারে ৮১%-এ

জনসংখ্যার অনুপাতে চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের জন্য আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা করেছে ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস সরকারয ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া রাজ্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি এবং অন্য অনগ্রসরদের জনসংখ্যার অনুপাতে সংরক্ষণের ব্যাপারে আইন প্রণয়ন করতে পারে সরকার।

সংরক্ষণ হতে পারে ৮১ শতাংশ

হাইকোর্ট ২০১২ সালে সংরক্ষণ ৫৮ শতাংশ করার সরকারি আদেশ অসংবিধানিক বলে রায় দিয়ে বাতিল করে দিয়েছিল। কেননা তা ৫০ শতাংশের ওপরে ছিল। বিষয়টি নিয়ে অচলাবস্থাও তৈরি হয়েছিল। সেই অচলাবস্থা কাটাতেই রাজ্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। ছত্তিশগড় সরকার জনসংখ্যার অনুপাতে সংরক্ষণ যদি করতে চায়, তাহলে তা ৮১ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে বিধানসভায় পেশের আগে ২৪ নভেম্বর সেই প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ করা হবে।

কাদের জন্য কত সংরক্ষণ

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ছত্তিশগড়ের ভূপেশ বাঘেল সরকার তফশিলি উপজাতিদের জন্য ৩২ শতাংশ, তফশিলি জাতিদের জন্য ১২ শতাংশ এবং ওবিসিদের জন্য ২৭ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ভাবছে। এর সঙ্গে থাকবে আর্থিকভাবে দুর্বলদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ। ফলে তা ৮১ শতাংশে পৌঁছে যাবে।
উল্লেখ করা যেতে পারে ২০১২ সালে তফশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ ৩২ শতাংশ, তফশিলি জাতিদের জন্য ১২ শতাংশ এবং ওবিসিদের জন্য ১৪ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। তবে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের পরে ছত্তিশগড়ে তফশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ ২০ শতাংশ, তফশিলি জাতিদের জন্য ১৬ শতাংশ হয়েছে।

বিশেষ পরিকল্পনা

ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল জানিয়েছেন, তাঁর সরকার জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে চান। ১ ডিসেম্বর বিধানসভা বিলটি আনার পাশাপাশি কংগ্রেস সরকার ছত্তিশগড়ের সংরক্ষণকে সংবিধানের নমব তফশিলের তালিকাভুক্তের জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ করতে পারে। যার অর্থ ওই আইনকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। তবে ছত্তিশগড়ে তফশিলি উপজাতিদের সংরক্ষণ ৩২ শতাংশ নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস, বিরোধী বিজেপি এবং অন্য রাজনৈতিকদলগুলি একই অবস্থানে রয়েছে।

সংরক্ষণের সীমা বাড়ানোর দাবিতে সোচ্চার আদিবাসী সংগঠনগুলি

ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস সরকার এমন একটা সময় সেই রাজ্যের আদিবাসীদের সংরক্ষণের সীমা বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে, যে সময় আদিবাসী সংগঠনগুলি বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ে আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষণের সীমা ৩২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি বিচার করে রাজ্য সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি নিয়ে আবেদনও করা হয়েছে।

English summary

Job and educational quota in Chhattisgarh may reach to 81% as Govt is preparing to increase this according to population