লকডাউনের মাঝেই জেএনইউ-র হস্টেল খালি করার নির্দেশ, ছাত্র সংসদের বিরোধিতায় ফের উত্তপ্ত পরিস্থিতি
লকডাউনের
চতুর্থ
দফায়
বেশ
কিছু
ক্ষেত্রে
ছাড়
দেওয়া
হয়েছে
।
চালু
হয়েছে
স্পেশাল
ট্রেন
পরিষেবা
।
কিছু
আন্তঃরাজ্য
বাস
পরিষেবাও
চালু
হয়েছে।
তাই
হস্টেলে
আটকে
পড়া
পড়ুয়াদের
বাড়ি
ফিরে
যাওয়ার
পরামর্শ
দিল
দিল্লির
জওহরলাল
নেহরু
বিশ্ববিদ্যালয়।
উপদেশনামাকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত
এই উপদেশনামাকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ছাত্র পরিষদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু করেছে। ছাত্র পরিষদের তরফে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উপদেশনামার বিরোধিতা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে পড়ুয়াদের জীবনকে বিপদে ফেলছেন।
ছাত্র পরিষদের এই বিরোধিতার উত্তর
ছাত্র পরিষদের এই বিরোধিতার উত্তর দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। তাঁদের মতে, কিছু স্বঘোষিত ছাত্রনেতা আছেন যাঁরা কর্তৃপক্ষের তরফে জারি যে কোনও উপদেশনামায় বিরোধিতা করার বিষয় খুঁজে পান। আর তাতে আদর্শবাদের রং লাগান।
হস্টেল খালি করার যুক্তি
উপদেশনামায় ডিন অফ স্টুডেন্টস প্রফেসর সুধীরপ্রতাপ সিং লেখেন, 'মার্চেই পড়ুয়াদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কথা জানিয়ে তাঁদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু লকডাউনে গণ পরিবহন পরিষেবা না মেলায় একাধিক পড়ুয়া হস্টেলে থাকার অনুরোধ জানান।' পাশাপাশি উপদেশনামায় জানানো হয়, বর্তমানে রেলের তরফে স্পেশাল ট্রেন পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে । ১ জুন থেকে আরও ২০০টি ট্রেন চালানো হবে। তাছাড়া, বাস ও ট্যাক্সি পরিষেবাও চালু করেছে দিল্লি সরকার। কিছু রাজ্য সরকারের তরফে পড়ুয়াদের ফেরাতে পরিবহনেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জুনের পর ফিরতে পারবেন ছাত্ররা
জেএনইউ-র জারি করা উপদেশনামায় জানানো হয়, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও দিল্লি সরকারেরে বিধিনিষেধ অনুযায়ী, ২৫ জুন বা তার পরে পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরতে পারবেন। তবে, ততদিন পর্যন্ত সমস্তরকম কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ে। এটা মাথায় রাখতে হবে যে, ভারত সরকার প্রতিদিন করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে মানুষকে অবগত করছে। বর্তমানে দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তাই এই বিষয়কে নজরে রেখে হস্টেলে যে সমস্ত পড়ুয়া আটকে পড়েছেন বা রয়েছেন তাঁদের বর্তমানে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য গুরুত্ব সহকারে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হলে তাঁরা ফিরে আসতে পারবেন।'
ছাত্র পরিষদের তরফে প্রকাশিত বিবৃতি
ছাত্র পরিষদের তরফে একটি বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উপদেশনামার বিরোধিতা করা হয়। বলা হয়, 'এই পরিস্থিতিতে কোথাও যাত্রা করা বেশি বিপজ্জনক মনে করেই ক্যাম্পাসে থাকা শ্রেয় বলে মনে করেছেন পড়ুয়ারা। তাই তাঁরা ক্যাম্পাসে রয়েছেন। বর্তমান সময়ে যখন করোনা মোকাবিলায় আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদক্ষেপ পড়ুয়াদের সুরক্ষা খর্ব করছে। পাশাপাশি কোরোনা মোকাবিলায় দেশের লড়াইয়েও ব্যাঘাত হানছে।'