অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদ অভিযানের ডাক জেএনইউ-র, অন্য বিশ্ববিদ্যালদেরও যোগদানের আহ্বান
সোমবার থেকে শুরু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সংসদে ইতিমধ্যেই সরকারকে কোণঠাসা করতে কোমর বেধেছে বিরোধীরা। এদিকে সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনেই সংসদের বাইরেও উত্তাল হতে চলেছে পরিস্থিতি। কারণ সোমবার জেএনইউ থেকে সংসদ পর্যন্ত মিছিল এর ডাক দিল জেএনইউএসইউ। বেসরকারিকরণ, শিক্ষায় গৈরিকীকরণের প্রতিবাদে এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেএনইউ-র ছাত্র সংসদ।
বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তাল জেএনইউ
গত বেশ কয়েক দিন ধরেই হস্টেলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে রাজধানী। সেই বিক্ষোভের জেরে ফি বৃদ্ধি আংশিক প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরও আন্দোলন জারি রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠনগুলি। এই অবস্থায় জেএনইউএসইউ হস্টেলের ফি বৃদ্ধি সহ একাধিক বিষয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে সংসদ অভিযান করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছআত্র সংসদের সদস্যরা।
জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের বক্তব্য
শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনটিকে সামনে রেখেই জেএনএসইউ-র এই কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বাইরের মিছিলের যোগ দেওয়ার জন্য অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়নগুলোকেও আহ্বান করা হয়েছে। এই বিষয়ে ছাত্র সংসদের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "আমরা এমন এক সময়ে রয়েছি যখন সারা দেশের ছাত্ররা ফি বৃদ্ধির জেরে জর্জরিত। আমাদের এই পরিস্থিতিতে আন্দোলন করা ছাড়া উপায় নেই। আমরা দিল্লির সমস্ত ছাত্রদের জেএনইউ থেকে সংসদ পর্যন্ত আমাদের এই মিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।"
উত্তপ্ত পরিস্থিতি জেএনইউ-তে ভাঙা হয় বিবেকানন্দের মূর্তি
এদিকে জেএনইউ-তে এই উত্তেজনার রোষ গিয়ে পড়ে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির উপর। মূর্তিটি ভাঙা হয়। পাশাপাশি মূর্তির আশেপাশে লাল কালি দিয়ে লেখা হয় আপত্তিকর শব্দ। এই ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
ছাত্র সংসদের দাবি
জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষের কথায়, বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙাকে সমর্থন করি না। আমরা আলাপ-আলোচনার মধ্যে সমস্যার সমাধানে বিশ্বাসী। এটা জেএনইউ ছাত্ররা করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কোনও ধরনের গুন্ডামিকে সমর্থন করে না। তবে আন্দোলনকে বিপথগামী করতে নানা ধরনের অপপ্রচার চলছে। জেএনইউ এর আন্দোলন এবার রাজনৈতিক রূপ পেতে চলেছে৷ ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে সংসদে। কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই দেখার।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর দিল্লি পুলিশ
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর দিল্লির পুলিশ প্রশাসন। বিপুল সংখ্যায় পুলিশকর্মীকে এই মিছিল ঠেকাতে নিয়োগ করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই বিষয়ে বলেন, "আমরা পুরো এলাকাকে সুরক্ষিত করে ফেলেছি। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন এই মিছিলের কারণে বিঘ্নিত হবে না। অন্য জেলা থেকেও আমরা পুলিশ কর্মীদের দিল্লিতে নিয়ে এসে নিয়োগ করেছি। কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমরা তৈরি।"