JNU-তে মুখঢাকা হামলাকারীরা 'কোড' শব্দ ব্যবহার করে কোন ইঙ্গিত দিয়েছিল! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
লাঠি, রড কিছুই বাদ যায়নি। আর এই সমস্ত হাতে নিয়েই অন্ধকার ঘনীভূত হতেই দিল্লির ঠান্ডায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে পা রাখে মুখ ঢাকা আততায়ীরা। এরপর শুরু হয় তাণ্ডব।
লাঠি, রড কিছুই বাদ যায়নি। আর এই সমস্ত হাতে নিয়েই অন্ধকার ঘনীভূত হতেই দিল্লির ঠান্ডায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে পা রাখে মুখ ঢাকা আততায়ীরা। এরপর শুরু হয় তাণ্ডব। একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তিতে চলে ভাঙচুর। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বহু পড়ুয়ার, হামলাকারীদের হাত থেকে রেহাই পাননি অধ্যাপিকাও। গোটা ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আর সূত্রের দাবি, এই ঘটনাতেও উঠে আসছে কিছু 'কোড ওয়ার্ড'। সেই 'কোড' কেন ব্যবহার করা হয়েছে, বা তার ইঙ্গিত কোন বিষয়টি স্পষ্ট করছে , তা দেখে নেওয়া যাক।
জেএনইউ ক্যাম্পাসে কাাদের উদ্দেশে কোড শব্দ?
রবিবার সন্ধ্যে ৭ টা থেকে যে তাণ্ডব দিল্লির জেএনইউ ক্যাম্পাসে শুরু হয়, তার পরিণতিতে ক্যাম্পাস রক্তাক্ত হয়েছে। আর যে সমস্ত মুখ ঢেকে রাখা হামলাকারীরা এমন কান্ড ঘটিয়েছে, তাদের মুখে সেদিন ছিল কিছু 'কোড' শব্দ। সূত্রের দবি, সেই কোড হামলাকারীরা নিজেদের দলের লোকেদের ভিড় থেকে আলাদা করতেই ব্যবহার করেছে। যাতে নিজের দলের সদস্যরা ঘটনায় আহত না হন।
ক্যাম্পাসে বিকেল থেকে সন্ধ্যের ঘটনা
জেএনইউ ক্যাম্পাসে গত বেশ কয়েকদিন ধরেই এপিভিপি ও বাম পড়ুয়াদের মধ্যে লড়াই চলছিল। এমন সময় রেজিস্ট্রেশন সার্ভার নষ্ট হয়ে যায়। অভিযোগ ওঠে এসএফআইয়ের দিকে। এরপর দুইপক্ষের বচসা হয়। বিকেল ৪ টের পরও সেখানের পেরিয়ার হস্টেলে তরজা তুঙ্গে ওঠে। ক্যাম্পাসে সাদা পোশাকে থাকা ১০ জন পুলিশ কর্মীও এতে আহত হয়েছিলেন। এরপরই ৭ টা নাগাদ শুরু হয়ে যায় তাণ্ডব।
হোয়াটস অ্যাপ গ্র্ুপ ও কোড শব্দ
জানা গিয়েছে, দুই রাজনৈতিক দলের বচসার মধ্যেই বিভিন্ন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ তৈরি হয়। সেখানে 'প্রতিশোধ' এর কথা আলোচিত হয়েছে। এরপরই কিছু কোড সেখানে দেওয়া হয়। যে সংকেত দিয়ে চেনা যাবে কারা 'নিজেদের দলের সদস্য।' এরপরই শুরু হয় ক্যাম্পাসে মারধর।
কিভাবে চলছে তদন্ত
দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে। পুরো টিম ৩ টি ভাগে আলাদা আলাদা এলাকায় তদন্তে নেমে গিয়েছে। সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাতে সহজে আততায়ীজের চেনা যায়, তার জন্য সিসিটিঊির ওপরই সমস্ত ভরসা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সিএএ, এনআরসি নিয়ে তফাত এবার অমিত শাহ আর বাবুলের মন্তব্যে, প্রশ্ন বিরোধীদের