জেএনইউ রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদের বিরুদ্ধে ১২০০ পাতার চার্জশিট
দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল এদিন সোমবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় ১২০০ পাতার চার্জশিট জমা করল।
দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল এদিন সোমবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় ১২০০ পাতার চার্জশিট জমা করল। তিন বছর আগে জেএনইউ ক্যাম্পাসে ভারত বিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এদিন পুলিশ যে চার্জশিট দিয়েছে তাতে কানহাইয়া কুমার, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, সঈদ উমর খালিদের নাম রয়েছে। এছাড়াও মোট সাতজনের নাম রয়েছে।
|
এরা হল - আকিব হুসেন, মুজিব হুসেন, মুনিব হুসেন, উমর গুল, রইস রসুল, বাশারত আলি ও খালিদ বশির ভাট। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ, ১৪৩, ১৪৭, ১৪৯, ১২০বি ও ৩২৩ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়েছে।
|
ভিড়ের মধ্যে থেকে অভিযুক্তদের খুঁজে বের করা সহজ ছিল না পুলিশের কাছে। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট ঘেঁটে অনেককে খুঁজে বের করতে বছর গড়িয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, কানহাইয়া কুমার ঘটনার বিস্তারিত জানলেও তা থামানোর চেষ্টা করেননি। এমনকী উমক খালিদ ও অনির্বাণ যে বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে ঢোকাচ্ছে সেটাও জেনে তা রোখার চেষ্টা করেননি। এই বিষয়ে জেএনইউ ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষ কিছু জানতেন না বলেও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
|
বিক্ষোভ মিছিলে স্লোগান ওঠে - 'হাম কেয়া চাহতে আজাদি, হাম লেকর রহেঙ্গে আজাদি, গো ইন্ডিয়া গো ব্যাক', 'সঙ্গ বাজি ওয়ালি আজাদি', 'ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে ইনশাআল্লাহ, কাশ্মীর কী আজাদি তক জঙ্গ রহেগি, ভারত কী বরবাদি তক আজাদি, ভারতকে মুলক কো এক ঝটকা অওর দো, হাম ছিন কে লেঙ্গে আজাদি, লড়কে লেঙ্গে আজাদি'।
|
২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জেএনইউ ক্যাম্পাসে এই বিক্ষোভ হয়। সংসদে হামলায় ফাঁসিপ্রাপ্ত জঙ্গি আফজল গুরুর মৃত্যুর প্রতিবাদে ভারত বিরোধী স্লোগানের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনা সারা দেশে হইচই ফেলে দিয়েছিল।