কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা নিয়ে আশ্বস্ত করেছেন রাজ্যপাল, জানালেন ওমর
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদায় হাত দেওয়া হবে না। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহকে একথা বলেই আস্বস্ত করেছেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদায় হাত দেওয়া হবে না। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহকে একথা বলেই আস্বস্ত করেছেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের একথা জানালেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তারপরেও আমরা চাইছি কাশ্মীরের বাসিন্দাদের মনের সন্দেহ দূর করতে সরকারি তরফে এই নিয়ে বিবৃতি জারি করা হোক।
এমনকী সংসদেও এই নিেয় সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। ওমরের দাবি রাজ্যপালই শেষ কথা এমন নয়, কেন্দ্রীয় সরকারই শেষ সিদ্ধান্ত নেয়। সেকারণেউ আমরা চাই সংসদে এই নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করুক কেন্দ্রীয় সরকার।
৩৭০ ধারা আর ৩৫-এর এ ধারা অবলুপ্ত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চরপ অস্থিরতা তৈরি হয়েছে কাশ্মীরে। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে কাশ্মীরে। জনমানসে এই আতঙ্ক দূর করতে সকালেই রাজ্যপালের দফতর থেকে সরকারি বিবৃতি জারি করে রাজ্যবাসীকে গুজব কান না দেওয়া এবং শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়ে।
এরই মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন যিনি, তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনিই অভিযোগ করেছিলেন কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার চক্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার সেকারণেই উপত্যকায় বাড়তি বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। শনিবার তিনিই সবার আগে এই নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বসার দাবি জানান। যদিও রাজ্যপাল তার আগেই বিবৃতি জারি করে জানিয়েছিলেন অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। গুজবে কান দেবেন না। রাজ্যের সব রাজনৈতিক নেতাদের শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।
তারপরেই দুপুরে ওমর আবদুল্লার এই নিয়ে রাজ্যপালের কাছে যান। দুপুরে বৈঠকেই রাজ্যপালল কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা নিয়ে ওমর আবদুল্লাহকে আসস্ত করেন।
এদিকে অমরনাথে জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কথা ঘোষণা করার পরেই তীর্থযাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ওমর আবদুল্লা জানিয়েছেন, গুলমার্গের একটি হোটেল থেকে জোর করে পর্যটকদের বের করে দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে প্রায় ২৫,০০০ তীর্থ যাত্রী কাশ্মীরে রয়েছে। সরকারের এই ঘোষণার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক ভাবেই অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ওমর।