আরও এক রাজ্যে ক্ষমতা হারাতে চলেছে বিজেপি! ঝাড়খণ্ডের হারে জল্পনা বাড়ালেন শরিক নেতা
আরও একটি রাজ্যে ক্ষমতাচ্যুত হতে পারে বিজেপি! ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনো গোহারা হারের পর বিজেপি শিবিরে এখন আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে।
আরও একটি রাজ্যে ক্ষমতাচ্যুত হতে পারে বিজেপি! ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনো গোহারা হারের পর বিজেপি শিবিরে এখন এমনই আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে। বিজেপির আরও একটি রাজ্য হাতছাড়া হওয়ার জল্পনায় পারদ চড়েছে জোট-শরিকের এক বিধায়কের কথায়। তাঁর কথায় সদ্য সরকার গঠনের পর বিজেপি এখন প্রমাদ গুনছে।
ঝাড়খণ্ডের পর কোন রাজ্য!
সদ্য ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি। জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডির জোট বিজেপিকে হারিয়ে ফের রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছে। এর ফলে গোটা দেশে আরও শক্তিক্ষয় হয়েছে বিজেপির। এই ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে হরিয়ানায়। যার জেরে সরকার পর্যন্ত পড়ে যেতে পারে।
বিবাদ বিজেপির জোট শরিকের
আসলে বিবাদ বিজেপির জোট শরিক জেজেপিকে নিয়ে। ভোটের পর সরকার গড়তে জেজেপির দুষ্যন্ত চৌতালা বিজেপির হাত ধরে। তার আগে তাঁদের প্রচার ছিল বিজেপির বিরুদ্ধেই। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করে ১০টি আসন দখল করে কিংমেকার হয়ে ওঠেন তিনি।
কিংমেকারের সিদ্ধান্তে দলেই দ্বন্দ্ব!
কিন্তু কিংমেকার হয়ে তিনি বিজেপি সরকারকে সমর্থন করবেন, তা ভাবেনি রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। সবাই ভেবেছিল হরিয়ানায় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকার হবে জেজেপির সমর্থনে। কিন্তু অমিত শাহের বাড়িতে দুষ্যন্ত চৌতালার সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর পাশা উল্টে যায়। সরকার গড়ে বিজেপি।
দুষ্যন্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জেজেপি নেতার
সম্প্রতি জেজেপি নেতা রামকুমার গৌতমের বেফাঁস মন্তব্য নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। তিনি বলেন, দুষ্যন্ত চৌতালার মনে রাখা উচিত, তিনি বিধায়কদের সমর্থনে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু তাঁর বিধায়করা যে তাঁর সিদ্ধান্তে ব্যথিত, তা নিয়ে ভাবছেন না চৌতালা।
যে দলের বিরুদ্ধে প্রচার, তাকেই সমর্থন
রামকুমার গৌতম আরও বলেন, আমরা যে দলের বিরুদ্ধে প্রচার করে জিতলাম, তাদেরকেই সমর্থন করলাম সরকারে। এই সিদ্ধান্ত হরিয়ানার মানুষ ভালোভাবে নেবেন না। আমিও মনে করি যে দলের বিরুদ্ধে আমাদের প্রচার তাদের সঙ্গে হাত মেলানো উচিত হয়নি। এই সিদ্ধান্তে আমিও আঘাত পেয়েছি।
দলের অনেক বিধায়কই ক্ষুব্ধ
তিনি বলেন, দলের অনেক বিধায়কই দুষ্যন্ত চৌতালার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি। অনেকে জানতেনই না বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার আসতে চলেছেন তাঁরা। রামকুমার গৌতমের অভিযোগ, ক্ষমতার মোহে দলের লোকজনদের ভুলে গিয়েছেন দুষ্যন্ত চৌতালা।
জল্পনার পারদ চড়েছে হরিয়ানায়
জেজেপি নেতার এহেন মন্তব্যের পরই জল্পনার পারদ চড়েছে। রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই আলোচনা- তবে কি হরিয়ানাতেও বিজেপি সরকারের পতন ঘটতে চলেছে! তা যদি হয়, বিজেপির কাছে সেটা হবে মোক্ষম ধাক্কা। বিজেপি নিশ্চয়ই সেই ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করবে।
হরিয়ানার ফল একনজরে
উল্লেখ্য, হরিয়ানায় ৯০ আসনের মধ্যে বিজেপি দখল করে ৪০টি আসন। আর কংগ্রেসের দখেল যায় ৩১টি। এই অবস্থায় কিং মেকার হয়ে ওঠেন দুষ্যন্ত চৌতালা। তাঁর পার্টি জেজেপি পায় ১০টি আসন। আর অন্যন্যদের দখলে যায় ৯টি আসন। শেষমেশ দুষ্যন্ত চৌতালার সমর্থনে সরকার গড়ে বিজেপি।