আস্থাভোটের আগেই মঞ্ঝির ইস্তফা, 'নাটক না করলেই হত' কটাক্ষ নীতিশের
পাটনা, ২০ ফেব্রুয়ারি : বিজেপির সমর্থন থাকা সত্ত্বেও আস্থা ভোটের আগেই রাজভবনে গিয়ে ইস্তফা দিয়ে দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মঞ্ঝি। মঞ্ঝির এই আচমকা ইস্তফার সিদ্ধান্তকে নাটুকে বলে কটাক্ষ করলেন নীতিশ কুমার।
আরও পড়ুন : বিহারের 'নাটুকে রাজনীতি': শুরু থেকে শেষ দেখুন একনজরে
নীতিশ কুমারের কথায়, আস্থা ভোটে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে না বুঝতে পেরেই ইস্তফা দিয়েছেন মঞ্ঝি। নীতিশের কটাক্ষ নাটক না করলেই হত। একইসঙ্গে বিজেপিকেও নিশানা বানিয়েছেন নীতিশ। তিনি বলেন, বিজেপির গেম-প্ল্যান প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। প্রথমে ভাঙন তারপর আনুগত্য পুনরায় প্রমাণ করার চেষ্টা চালিয়েছিল, কিন্তু তাতে সফল হতে পারেনি তারা।
এদিকে এই গোটা নাটকে নয়া মোড় আনলেন মঞ্ঝি নিজেই। ইস্তফা দেওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করে মঞ্ঝি বলেন, ফোনে তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিধানসভায় অশান্তি ছড়ানোরও আশঙ্কা রয়েছে। আর সেই কারণেই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত। এমনকী অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মঞ্ঝি। এও অভিযোগ করেন, ভোট নিজেদের পক্ষে আনতে মোটা টাকা দিয়ে বিধায়কদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চলেছে। গোপন ভোট হলে আমাদের সঙ্গে বহু বিধায়কই রয়েছেন।
এদিকে জিতনরাম মঞ্ঝির উপর নীতিশ কুমারের প্রভাবের যে অভিযোগ ছিল, তা নিয়েও মন্তব্য করেন মঞ্ঝি। তিনি বলেন, কোন দফতরে কে মন্ত্রী হবে তা তিনি জানতেন না। কোথায় কোন আধিকারিকের স্থানান্তর হবে তাও তিনি জানতেন না। শুধু নির্দেশ আসত। ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও মানতে হত। পরে আমার বিবেক জাগে। আমি চেয়েছিলাম নিজের মতো কাজ করতে। কিন্তু সেটা হল না। যে নাতীশকুমার আমাকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু উনিই এখন অন্যদের কথায় প্রভাবিত হয়ে আমাকে সরাতে চাইছেন। তাই ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
গোটা বিষয়টি থেকে হাত ঝেড়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতা শাহনাওয়াজ হুসেনের কথায়, যা হয়েছে তাতে আমাদের কোনও যোগাযোগ নেই।