পুলিশের সামনেই পুস্পা-স্টাইলে দলিত নেতা জিগনেশ বললেন...ঝুকেগা নেহি
জামিন পেলেন গুজরাতের বিধায়ক জিগ্নেশ মেবাণী। মহিলা পুলিশকর্মীর সঙ্গে অসভ্যতা এবং মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়। আজ শুক্রবার বিধায়ক জিগ্নেশ মেবাণীর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিতর্কিত টুইটের
জামিন পেলেন গুজরাতের বিধায়ক জিগনেশ মেবাণী। মহিলা পুলিশকর্মীর সঙ্গে অসভ্যতা এবং মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়। আজ শুক্রবার বিধায়ক জিগনেশ মেবাণীর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিতর্কিত টুইটের মামলায় ইতিমধ্যে স্বস্তি পেয়েছেন দলিত এই নেতা।
কিন্তু পুলিশের দাবি, এই মামলায় কোকরাঝাড় আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে মহিলা পুলিশ কর্মীর সঙ্গে মারপিঠে জড়িয়ে পড়েন জিগ্নেশ। ফলে প্রথম মামলায় জামিন পেলেও ফের এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়।
দ্বিতীয় মামলাতেও স্বস্তি বিধায়কের। তবে জামিন পাওয়ার পরেই মেবানি একেবারে পুস্পার স্টাইলে ইশারা করে বলেন... ম্যা নেহি ঝকুঙ্গা! আর সেই ইশারা সোশ্যাল মিডিয়াতে রীতিমত ভাইরাল!
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জিগনেশ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান, তাঁর গ্রেফতারি কোনও সাধারণ মামলার ঘটনায় হয়নি। রাজনৈতিক মাথাদের নির্দেশেই তাঁর বিরুদ্ধে এই কেস সাজানো হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। তবে যে টুইট জিগ্নেস করেছিলেন তা থেকে সরে আসার কোনও প্রশ্নই নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। দলিত এই নেতার দাবি, তিনি তাঁর টুইট নিয়ে গর্বিত!
বলে রাখা প্রয়োজন, নাথুরাম গডসে, গুজরাত হিংসা এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে একটি বিতর্কিত টুইট করেন জিগ্নেশ।
আর সেই টুইটের বিরুদ্ধেই আদালতের দ্বারস্থ হন এক বিজেপি কর্মী। যিনি অসমের বড়োল্যান্ড স্বশাসিত পরিষদেরও সদস্য। আর সেই ঘটনায় গ্রেফতার হন জিগ্নেস। ২০ এপ্রিল মধ্যরাতে গুজরাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। অসম পুলিশের একটি টিম সেখানে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে।
কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ এই নেতার গ্রেফতার ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিতর্কের মধ্যে পড়ে যান সে রাজ্যের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীও।
এই অবস্থায় কোকরাঝাড়া জেলা আদালতে বিধায়ককে পেশ করা হয়। আর সেখানে একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও পরে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন মঞ্জুর করে। আর এরপরেই আরও একটি মামলাতে জিগ্নেশকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। মহিলা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে অসভ্যতার অভিযোগ করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেও জামিনে মুক্ত জিগ্নেস।