প্রথম দফায় ১৩ আসনে ভোটের আগে সরগরম ঝাড়খণ্ডের রাজনীতির ময়দান
প্রথম দফায় ১৩ আসনে ভোটের আগে সরগরম ঝাড়খণ্ডের রাজনীতির ময়দান
নির্বাচন কমিশনের নিয়মবিধি মেনেই ভোটের প্রচার পর্ব চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে। এই নির্বাচনে ক্ষমতায় থাকা বিজেপিকে এই নির্বাচনে জোর টক্কর দিতে চলেছে বিরোধী জোট শিবির। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দলের জোট এবার বিজেপিকে মুখ্যমন্ত্রীর মসনদ থেকে হটাতে পারে কিনা তা পরিষ্কার হবে ২৩শে ডিসেম্বরের ভোটের ফলাফলেই।
২০১৯শের লোকসভা নির্বাচনে জয় লাভের পরও শক্তি ক্ষয় বিজেপির
নভেম্বর সালে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী ছিল মোট ১৬টি রাজ্যে। সেখানে ২০১৯ সালে মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিপুল জয়লাভের পর নতুন করে চারটি রাজ্যে শক্তি ক্ষয় হয়েছে বিজেপির। বর্তমানে সাড়া দেশে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২তে। বর্তমানে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন প্রসঙ্গে শরিক দল শিবসেনার সঙ্গে বিজেপির সংঘাত ঝাড়খণ্ড বিধানসভাতেও খানিকটা ছাপ ফেলতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রথম পর্যায়ে ভোট গ্রহণ ১৩টি আসনে
প্রথম পর্যায়ে ঝাড়খন্ডের মোট ১৩ টি বিধানসভা আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আগামীকাল শনিবার প্রথম দফায় যে যে আসন গুলির জন্য ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সেগুলি হলো চাতরা, গুমলা, বিষ্ণুপুর, লোহারডাঙ্গা, মানিকা, লাটেহার, পাঙ্কি, ডাল্টনগঞ্জ, বিশ্রামপুর, চাতারৌর, হুসেনবাদ, গারবা এবং ভাবনাথপুর। বিজেপি এবং ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা-প্রজাতান্ত্রিক (জেভিএম-পি) ১৩ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। অন্যদিকে, জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডি আসন ভাগাভাগির রাস্তায় হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। কংগ্রেস ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) এবং আরজেডি যথাক্রমে ছয়, চার এবং তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
গত বারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির শরিক দল অল ঝাড়খণ্ড ছাত্র ইউনিয়নের (আজসু) নেতা সুদেশ মাহাতো এ বার লোহারডাঙ্গা কেন্দ্র থেকে লড়ছে। অন্যদিকে বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেতা শিবপুজান মেহতা, যিনি গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে হুসেনবাদ থেকে জিতেছিলন। এই বছর তিনি লড়ছেন আজসুর টিকিটে। পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবু লাল মারান্ডি এবার ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চার পক্ষ থেকে নিজেই লড়ছেন।
বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার জন্য প্রস্তুত মহাজোটবন্ধন
বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার জন্য তৈরি হওয়া 'মহাগাঁটবন্ধনের' পক্ষ থেকে মোট ৮১টি বিধানসভা আসন থেকে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা এ বছর ৪৩ টি আসনে নিজেদের প্রার্থী দিয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ৩১ টি আসনে এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল লড়ছে সাতটি আসন থেকে। যদিও, প্রথম পর্যায়ে কংগ্রেসের ক্ষমতা নির্ভর করছে তার শরিক দল গুলির উপর। জোট সঙ্গীদের ভোটে কিভাবে কংগ্রেসের পকেট ভরতে পারে, এখন সেটাই দেখার।
নির্বাচনী প্রচারেও জোর টক্কর
প্রথম দফার নির্বাচনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং জেএমএম এর বর্তমান কার্যকরী সভাপতি হেমন্ত সরেন এ বছর নির্বাচনের জন্য লাগাতার প্রচার চালিয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপি তাদের প্রথম দফার নির্বাচনী প্রচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যানাথকে নিয়ে এসেছেন তাদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য।