নিজের পুত্রসন্তানকে বিক্রি করে দুটি ছাগল কিনলেন মা!
রাঁচি, ১৫ জুলাই : ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলির দৈন্যদশা দেখলে যেকারও মন দুঃখে ভরে উঠতে পারে। বেঁচে থাকার ন্যূনতম সুবিধাটুকু সেখানে নেই। সর্বহারা সেই মানুষগুলি দারিদ্যের সঙ্গে লড়াই করতে করতেই যুগের যুগ বেঁচে রয়েছেন। [বারবার একই অপরাধ করায় 'গ্রেফতার ছাগল']
ঝাড়খণ্ডের রামগড় বীরহোর তলার বাসিন্দা আনো বীরহর নামে এক মহিলা দারিদ্যের সঙ্গে লড়াই করতে করতে নিজের সদ্যজাত পুত্রসন্তানকেও বিক্রি করে দিতে দু'বার ভাবেননি। সন্তান বিক্রির পর পাওয়া মাত্র ২৫০০ টাকায় তিনি দুটি ছাগল কিনেছেন। [দেড় বছরের শিশুর ওজন ২২ কেজি!]
আনোদেবীর তার সন্তানকে কেদার সাঁওয়ের কাছে বেচে দিয়েছেন। কেদারের চার মেয়ে। তার কোনও পুত্র সন্তান ছিল না। একটি পুত্র সন্তান পেয়ে তিনিও খুশি। সঙ্গে সঙ্গে কথামতো ২৫০০ টাকা কেদার তুলে দিয়েছেন আনোদেবীর হাতে। [১ বছরের শিশুর ২৫ বছরের যুবকের মতো যৌনাঙ্গ]
জানা গিয়েছে, আনোদেবীর স্বামী কিছুদিন হল মারা গিয়েছেন। এছাড়া তাঁর এমনিতেই ৬ সন্তান রয়েছে যার মধ্যে ৩জন ছেলে। ফলে নতুন সন্তানকে বাড়িতে মানুষ করার মতো সামর্থ্য তাঁর নেই। [গরুর মূত্রে বিশুদ্ধ সোনা পেলেন বিজ্ঞানীরা]
আনোদেবী জানিয়েছেন, সেজন্যই কেদার সাঁও পুত্রসন্তান কামনা করছেন জানতে পেরই তিনি টাকার বিনিময়ে নিজের সন্তান বেচে দিয়েছেন। এতে অন্যায়ের কিছু নেই। একথা বুক ঠুকে বলতেও দিন-আনি দিন-খাই আনোদেবীর কোনও লজ্জা নেই।