চুমু খাওয়ার প্রতিযোগিতা, বিজেপি শাসিত রাজ্যে বিতর্কে দুই বিধায়ক, দেখুন ভিডিও
চুম্বন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিতর্কে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার দুই বিধায়ক। অভিযুক্ত দুই বিধায়ককে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করার দাবি করেছে বিজেপি।
চুম্বন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিতর্কে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার দুই বিধায়ক। অভিযুক্ত দুই বিধায়ককে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করার দাবি করেছে বিজেপি।
ঝাড়খণ্ডের পাকুরের দুমারিয়ায় ঐতিহ্য মণ্ডিত গ্রামীন মেলা। সেখানেই আদিবাসী দম্পতিদের মধ্যে এই চুম্বন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।
আয়োজক ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার দুই বিধায়কের একজনস সাইমন মারান্ডি অবশ্য এই প্রতিযোগিতা নিয়ে সাফাই দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আদিবাসীদের মধ্যে ডিভোর্সের সংখ্যা কমাতেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন। সাঁওতাল পরগনার লিলিপাড়ার বিধায়ক এই সাইমন মারান্ডি। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার অপর বিধায়ক স্টিফেন মারান্ডিও এই অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন।
Jharkhand: Kissing contest organized for married couples at a Mela in Dumaria village of Pakur on 10th December. Jharkhand Mukti Morcha legislator Simon Marandi was also present at the event. pic.twitter.com/sCS8PeMoDw
— ANI (@ANI) December 12, 2017
বিজেপি অবশ্য ঝাড়খণ্ড বিধানসভা থেকে দুই বিধায়কের সাসপেন্ডের দাবি করেছে। বিজেপির ঝাড়খণ্ডের সহ সভাপতি হেমলাল মুর্মু এই দাবি করেছেন।
হেমলাল মুর্মু রাঁচিতে দাবি করেছেন, সাইমন মারান্ডি এবং স্টিফেন মারান্ডি চুম্বন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সাঁওতাল পরগনার সংস্কৃতির অপমান করেছেন। শীতকালীন অধিবেশনে তাঁদের সাসপেনশনের দাবি করেছেন তিনি। বিজেপি নেতার দাবি, চুম্বন প্রতিযোগিতা সাঁওতাল পরগনার সংস্কৃতি নয়। এর মাধ্যমে মহিলাদের অপমাণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। যেখানে একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে হাতে হাত পর্যন্ত রাখে না, সেখানে দুই বিধায়কের উচিত গ্রামের প্রধানদের কাছে ক্ষমা চাওয়া।
চুম্বন প্রতিযোগিতার ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। প্রতিযোগিতার মজাও নিচ্ছেন উপস্থিত দর্শকরা।
প্রতিযোগিতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে বিধায়ক সাইমন মারান্ডি জানিয়েছেন, কুড়ি জোড়া দম্পতির মধ্যে এই প্রতিযোগিতা হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, সাঁওতাল সমাজকে কেও বুঝতে চান না। দম্পতির মধ্যে বিভেদ এবং ডিভোর্সের ঘটনা কমাতেই এই প্রতিযোগিতা বলে দাবি করেছেন তিনি। সাইমন মারান্ডি জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতা হয়ে যাওয়ার পরেই এসেছিলেন অপর বিধায়ক স্টিফেন মারান্ডি।
ঝাড়খণ্ডের গ্রামীন উন্নয়নমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা নীলকান্ত সিং মুন্ডা বলেছেন, এই ঘটনা আদিবাসী সমাজের অপমান। বিজয়ী হাতে সাইমন মারান্ডির পুরস্কার তুলে দেওয়ারও সমালোচনা করেছেন তিনি।