এ এক অন্য ভ্যালেন্টাইনের কাহিনি! স্ত্রীর খোঁজে ৬০০ কিমি সাইকেল যাত্রা ঝাড়খণ্ডের যুবকের
২৪ দিন ধরে ৬০০ কিলোমিটার রাস্তা সাইকেলে পাড়ি দিলেন ঝাড়খণ্ডের যুবক। অবশেষে পশ্চিমবঙ্গে এসে খুঁজে পেলেন নিজের প্রিয়তমাকে স্ত্রীকে।
ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন এর থেকে ভালো ভালোবাসার অনুপ্রেরণা আর কিছু হতে পারে না। স্ত্রী হারিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে খুঁজতে ২৪ দিন ধরে ৬০০ কিলোমিটার রাস্তা সাইকেলে পাড়ি দিলেন ঝাড়খণ্ডের যুবক। অবশেষে পশ্চিমবঙ্গে এসে খুঁজে পেলেন নিজের প্রিয়তমাকে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত সপ্তাহে। খড়্গপুরে নিজের স্ত্রীকে খুঁজে পেয়েছেন তিনি। তার আগে তিন সপ্তাহের বেশি সময় সাইকেলে চেপে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত, এক শহর থেকে আর এক গ্রাম, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন মনোহর নায়েক।
তাঁর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের মুসাবনির বালিগড়া গ্রামে। মোট ৬৫টি গ্রাম ঘুরেছেন তিনি। স্ত্রীর খোঁজ করতে রোজ ২৫ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়েছেন।
গতমাসের ১৪ জানুয়ারি কুমরাসোল গ্রামে নিজের বাপের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান অনিতা। মকর সংক্রান্তির সময়ে নিজের বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি।
দুদিন পর অনিতা না ফিরলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন মনোহর। ওড়িশায় দিনমজুরের কাজ করা মনোহর জানিয়েছেন, পুলিশ কোনও সন্ধান না দিতে পারায় স্ত্রীকে খুঁজবেন বলে নিজেই স্থির করেন তিনি।
অনিতা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। ভালো করে কথা বলতে পারতেন না। তাঁকে খোঁজা বেশ কষ্টসাধ্য ছিল। তা সত্ত্বেও নিজের সাইকেল সারিয়ে স্ত্রীকে খুঁজে পেতে বেরিয়ে পড়েন মনোহর। 'কতটা রাস্তা চলেছি জানি না। এক গ্রাম থেকে আর এক গ্রামে ঘুরে বেড়িয়েছি' বলেছেন মনোহর। শেষদিকে কোনও খোঁজ না পেয়ে স্থানীয় সংবাদপত্রে ছবিসহ বিজ্ঞাপন দেন তিনি।
তারপরই স্থানীয় কয়েকজন অনিতার খোঁজ দেন পুলিশে। সেখান থেকে খড়্গপুর পুলিশ খবর পাঠায় মুসাবনিতে। তারপর মনোহর ফিরে পেয়েছেন অনিতাকে। মুসাবনির পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সময় নষ্ট না করে মনোহরকে খড়্গপুর যেতে বলি দুজনের আধার কার্ড নিয়ে। তারপরই গত রবিবার অনিতাকে ফিরে পেয়েছেন মনোহর।