টিকা অপচয় ঠেকাতে ব্যর্থ ঝাড়খণ্ড-মধ্যপ্রদেশ, সঙ্কটকালে আশা দেখাচ্ছে বাংলা-কেরল
টিকা অপচয় ঠেকাতে ব্যর্থ ঝাড়খণ্ড-মধ্যপ্রদেশ, সঙ্কটকালে আশা দেখাচ্ছে বাংলা-কেরল
টিকা
নীতিতে
বদল
এনে
ভ্যাকসিন
অপচয়
রোধে
বিশেষ
জোর
দিচ্ছে
কেন্দ্র।
এমনকী
অপচয়
না
ঠেকানো
গেলে
রাজ্যগুলিকে
টিকা
পাঠানোর
পরিমান
কমিয়ে
দেওয়া
হবে
বলে
হুঁশিয়ারি
দেওয়া
হয়েছে।
কিন্তু
তারপরেও
কমছে
না
উদ্বেগ।
একাধিক
রাজ্যে
নষ্ট
হয়ে
যাচ্ছে
হাজার
হাজার
ভ্যাকসিনের
ভায়াল।
দেশজোড়া
টিকা
সঙ্কটের
মাঝে
এই
ছবি
দেখে
বিস্মিত
হচ্ছেন
সকলেই।
মে মাসে কেরল, বাংলা টিকা অপচয় রোধে বড় ভূমিকা নিলেও সর্বাধিক টিকা নষ্ট হচ্ছে ঝাড়খণ্ডে। সূত্রের খবর, সেখানে বরাদ্দ টিকার ৩৩.৯৫ শতাংশই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এমনটাই বলছে সরকারি তথ্য। অন্যদিকে অপচয় প্রায় ৬.৩৭ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে এনে কেরলা ১.১০ লক্ষ টিকা ডোজ বাঁচিয়ে ফেলেছে বলে জানা যাচ্ছে। সেখানে বাংলা ৫.৪৮ শতাংশ পর্যন্ত অপচয় কমিয়ে ১.৬১ লক্ষ পর্যন্ত টিকা ডোজ বাঁচিয়ে ফেলেছে বলে খবর।
অন্যদিকে পরিস্থিতি এখনও খারাপ রয়েছে ছত্তিশগড়ে। সেখানে ১৫.৭৯ শতাংশ টিকা নষ্ট হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মধ্যপ্রদেশও। সেখানে ৭.৩৫ শতাংশ পর্যন্ত টিকা নষ্ট হয়েছে বলে জানাচ্ছে সরকারি তথ্য। পাশাপাশি পাঞ্জাব, দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলিতে যথাক্রমে ৭.০৮ শতাংশ, ৩.৯৫ শতাংশ, ৩.৯১ শতাংশ, ৩.৭৮ শতাংশ, ৩.৬৩ শতাংশ এবং ৩.৫৯ শতাংশ টিকা নষ্ট হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে মে মাসে দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ৭৯০.৬ লক্ষ টিকা পাঠানো হয়েছিল। যার মধ্যে কাজে এসেছে ৬৫৮.৬ লক্ষ করোনা টিকা। এদিকে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা টিকা পেয়েছেন ২৩ কোটির কিছু বেশি মানুষ। যদিও তাদের মধ্যে ২০ শতাংশই পেয়েছেন একটি ডোজ। গোটা দেশজুড়ে করোনা টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন মাত্র ৩.৩ শতাংশ মানুষ।