বিজেপির ষড়যন্ত্র, বাংলাতে ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক গ্রেফতারিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া কংগ্রেসের
বিজেপির ষড়যন্ত্র, বাংলাতে ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক গ্রেফতারিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া কংগ্রেসর
শনিবার বিপুল অঙ্কের অর্থ সহ ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেসের তিন বিধায়ককে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস প্রধান রাজেশ ঠাকুর। তিনি অভিযোগ করেছেন, ঝাড়খণ্ড সরকারকে বিপাকে ফেলতেই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তিনি গত মাসে উদ্ধব সরকারের পতন ও শিবসেনা বিধায়কদের বিদ্রোহী বিধায়কদের অসমের গুয়াহাটিতে আশ্রয় নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। শনিবার পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থেকে ঝাড়খণ্ডের জামতারার বিধায়ক ইরফান আনসারি, খিজরির বিধায়ক রাজেশ কাছাপ, কাবোবিয়ার বিধায়ক নমন বিক্সালকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের গাড়ি থেকে হাওড়া পুলিশ বিপুল অঙ্কের অর্থ উদ্ধার করে বলে জানা গিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপির ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়করা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।
কী বললেন রাজেশ ঠাকুর
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, সারা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে অসম কীভাবে বিভিন্ন রাজ্যে সরকার পতনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ২৫ দিন ধরে মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। তারপর মহা বিকাশ আঘাদি সরকারের পতন হয়। ছয় বিধায়কের গ্রেফতারি ইঙ্গিত দেয়, ঝাড়খণ্ডে সরকারকে চাপে ফেলতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি। আগামী দিনে বিষয়গুলো আরও পরিষ্কার হবে বলে রাজেশ ঠাকুর মনে করছেন। ঝাড়খণ্ডের রাজ্য কংগ্রসের প্রধান জানিয়েছেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। রাজ্য ইউনিট দলের হাই কমান্ডকে একটি প্রতিবেদন পেশ করেছে।
তিনি মন্তব্য করেছেন, 'তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এই বিষয়ে মন্তব্য করা যুক্তি সঙ্গত হবে না। তবে দেশের, বিভিন্ন রাজ্যের পরিস্থিতি দেখে অনেক কিছু মনে হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে গ্রেফতার হওয়া বিধায়করা ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবেন। এই ঘটনা দুঃখজনক। আমরা আমাদের উচ্চ আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দেব। জড়িত কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না।' আগেও কংগ্রেস ঝাড়খণ্ডের সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছিলেন।
ষড়যন্ত্রের শিকার ঝাড়খণ্ডের সরকার
ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি তিরকি বলেন, বিজেপির স্বভাব হল, অবিজেপি শাসিত রাজ্যেগুলোর সরকারকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা। সোরেন সরকারের বিরুদ্ধে তাই করা হয়েছে। অর্থ দিয়ে ঝাড়খণ্ডে সোরেন সরকারের পতনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ঝাড়খণ্ড বিজেপি তাদের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সোরেন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে দুর্নীতি বেড়ে গিয়ছে। এর আগেও ঝাড়খণ্ডের একাধিক আধিকারিকের বাড়িতে বিপুল অঙ্কের অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। জনগণের কষ্টের টাকা দুর্নীতির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। পুলিশ তাঁদের গ্রেফতারের পরেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
'অপারেশন লোটাসে’ বিধায়ক কেনা-বেচার টাকা উদ্ধার! বিজেপির ডিলিংয়ের অভিযোগ তৃণমূলেরও