করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী রেমডেসিভির আনতে চান বাংলাদেশ থেকে, চাইলেন মোদী সরকারের অনুমতি
করোনা মোকাবিলায় খানিকটা কার্যকরী ওষুধ হল রেমডেসিভির (remdesivir) ইনজেকশন। এই মুহূর্তে যে ওষুধ নিয়ে টানাটানির পরিস্থিতি। কেন্দ্র আশ্বাস দিয়েছে, কিছু দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। যদিও এরই মধ্যে বাংলাদেশ
করোনা মোকাবিলায় খানিকটা কার্যকরী ওষুধ হল রেমডেসিভির (remdesivir) ইনজেকশন। এই মুহূর্তে যে ওষুধ নিয়ে টানাটানির পরিস্থিতি। কেন্দ্র আশ্বাস দিয়েছে, কিছু দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। যদিও এরই মধ্যে বাংলাদেশ (bangladesh) থেকে এই ওষুধ আমদানির (import) জন্য মোদী (narendra modi) সরকারের অনুমতি চেয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন(hemanta soren)।
কেন্দ্রকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়াকে দেওয়া চিঠিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেছেন, তারা ধরে নিয়েছিলেন, ভ্যাকসিন এবং হার্ড ইমিউনিটির কারণে সেকেন্ড ওয়েভ সেরকম খারাপ কিছু হবে না। কিন্তু বর্তমানে রোগীদের বড় উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তাঁদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হচ্ছে। করোনার চিকিৎসায় প্রোটোকল মানতে গেলে রেমডেসিভির একটি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে ওই ওষুধের অভাব রয়েছে।
ভারতীয় প্রস্তুতকারকরা চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ
এই চিঠিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতে যেসব সব কোম্পানি ওই ওষুধ তৈরি করে, তারা চাহিদা মেটাতে পারছে না। সেই কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের দিকে তাকাতে হচ্ছে। বাংলাদেশের বেক্সিমো ফার্মাসিউটিক্যালের কাছ থেকে ৫০ হাজার ভায়ালের জন্য কোয়েশনও পাওয়া গিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ঝাড়খণ্ড সেই ওষুধ সংগ্রহ করতে চায় খুব তাড়াতাড়ি। সেই কারণে তাঁর (হেমন্ত সোরেন) অনুরোধ, উল্লিখিত কোম্পানির কাছ থেকে ওষুধ আমদানির অনুমতি তাঁদেরকে দেওয়া হোক।
রেমডেসিভির নিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপ
যদিও ইতিমধ্যেই রেমডেসিভিরের জোগান বাড়াতে পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র। এই মুহুর্তে দেশের ২০ টি প্ল্যান্টে রোজ গড়ে দেড় লক্ষ ওষুধ তৈরি হয়। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সংখ্যা তিন লক্ষে নিয়ে যাওয়া হবে। সাধারণভাবে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে এমন রোগীদের রেমডেসিভিরের প্রয়োজন হয়। তবে বাড়িতে রয়েছেন, উপসর্গহীন কিংবা মৃদু উপসর্গের রোগীদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভিরের কোনও প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে দেশে রেমডেসিভির প্রস্তুত কারক সংস্থাগুলি ওষুধের দামও কমিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
সেনা হাসপাতাল থেকেও সাহায্যের আবেদন
শনিবার রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি রাজ্যের করোনা মোকাবিলায় সিপিএমএফ এবং সেনা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্য তিনি চেয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর মুখে দেশ বিরোধী কথা, দলের নেতা চান চারটে পাকিস্তান, আক্রমণ শুভেন্দুর