‘অযোগ্যতা’র হুমকির মধ্যেই জোটসঙ্গীদের সঙ্গে বৈঠক ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর, পাশে থাকার বার্তা কংগ্রেসের
‘অযোগ্যতা’র হুমকির মধ্যেই জোটসঙ্গীদের সঙ্গে বৈঠক ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর, পাশে থাকার বার্তা কংগ্রেসের
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন অযোগ্য বিধায়ক হিসেবে ঘোষণার সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে ইসি। রিপোর্ট পাঠানোর একদিন পরেই রাঁচিতে নিজের বাসভবনে ইউপিএ বিধায়কদের বৈঠকে ডাকলেন হেমন্ত সোরেন। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, অযোগ্যতার বিষয়ে রাজ্যপালের তরফে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।
বিধান সভায় সংখ্যা গরিষ্ঠ জেএমএম সরকার
জেএমএম-এর প্রবীণ নেতা সুপ্রিয় ভট্টাচর্য বলেছেন, 'আমাদের ৫০টির বেশি বিধায়ক রয়েছেন। এছাড়াও বিজেপির বেশ কয়েকজন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাাযোগ করেছেন। আমরা স্বচ্ছন্দে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবো। রাজ্যপাল নির্দেশ দিলেই আমরা সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করব।' ঝাড়কণ্ডের মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা বান্না গুপ্তা বলেন, 'আমাদের সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ রয়েছে। আমরা হেমন্ত সোরেন ও জেএমএম-এর সঙ্গে রয়েছি। সব কিছু ঠিক রয়েছে। আমরা সোনিয়া গান্ধীর পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছি।'
সরকারি সংস্থাগুলোর নির্লজ্জ অপব্যবহার
ঝাাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। একটি বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন যে অযোগ্য বিধায়কের সুপারিশ রাজ্যপালের কাছে করেছে, বিধান সভায় তাঁর সদস্যপদ খারিজের আবেদন করেছে,তা সংবাদমাধ্যম মারফত জানা গিয়েছে। রাজভবন থেকে এই বিষয়ে কোনও যোগাযগ করা হয়নি। পাল্টা সোরেন অভিযোগে জানিয়েছেন, সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ ও সরকারি সংস্থাগুলোর নির্লজ্জ অপব্যবহার করা হচ্ছে। মামলার মূল আবেদনকারী বিজেপি। বিজেপির জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১ এর ৯ (এ) ধারা লঙ্ঘন করেছে হেমন্ত সোরেন। সেই কারণে তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করা হোক।
হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে খনি লিজ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের অধীনের রাজ্যের খনি দফতর রয়েছে। হোরেনের বিরুদ্ধে অভিযোগে, তিনি নিজের জন্য ও ভাইয়ের জন্য খনি লিজে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি ইডি রাজ্যের খনি দফতরের সচিব পূজা সিংগলকে গ্রেফতার করেছে। পূজা এই লাইসেন্সগুলো দিয়েছিলেন। বিজেপির তরফে এই অভিযোগ ওঠার পর নির্বাচন কমিশন তদন্ত শুরু করে। সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে শুনানি ১৮ অগাস্ট শেষ হয়। ১২ অগাস্ট শুনানির সময় সোরেনের আইনজীবারা জানিয়েছিলেন, খনি লিজের ঘটনা কখনই জনপ্রতিনিধি আইনের ১৯৫১ এর ৯ (এ) ধারার মধ্যে পড়ে না। পাল্টা বিজেপির আইনজীবীরা মতামত দেন। প্রায় দুই ঘণ্টা এই তর্ক বিতর্ক চলে। এরপরেই নির্বাচন কমিশন তাদের রিপোর্ট রাজ্যপালের কাছে পাঠায়। হেমন্ত সোরেনকে অযোগ্য বিধায়কের সুপারিশ করে।
দলের আসার জায়গা নেই, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে দল ছাড়লেন গুলাম নবী আজাদ