নয়া সিদ্ধান্ত ঝাড়খণ্ড সরকারের, এসসি, এসটি ও অন্যান্যদের চাকরির ক্ষেত্রে ৭৭ শতাংশ সংরক্ষণের বিল পাস
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৭৭ শতাংশ সংরক্ষণের বিল পাল
ঝাড়খণ্ড বিধানসভা শুক্রবার বিভিন্ন বিভাগে সংরক্ষণ বাড়িয়ে ৭৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঝাড়খণ্ড বিধানসভার একটি বিশেষ অধিবেশনে ঝাড়খণ্ড রিজার্ভেশন অফ ভ্যাকান্সি ইন পোস্টস অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যাক্ট, ২০০১ -এর সংশোধন করা হয়।
ঝাড়খণ্ড রিজার্ভেশন অফ ভ্যাকান্সি ইন পোস্টস অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যাক্ট, ২০০১ -এর সংশোধন ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সরকারের চাকরিতে এসটি, এসসি, ইবিসি, ওবিসি এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বিভাগগুলির (ইডব্লিউএস) জন্য বিদ্যমান সংরক্ষণ ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিলটিতে রাজ্য কেন্দ্রের কাছে সংবিধানের নবম তফসিল সংশোধন করার জন্য অনুরোধ করবে। বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভের মধ্যেই ঝাড়খণ্ড বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে বিলটি পাস হয় বলে জানা গিয়েছে।
বিলটি পাস হওয়ার পরেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরন আইনটিকে রাজ্যের মানুষের সুরক্ষা কবচ বলে উল্লেখ করেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, এই বিলটির মাধ্যমে বিরোধীদের সমস্ত ষড়যন্ত্রের মুখের ওপর জবাব দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। জানা গিয়েছে, বিরোধীদের কিছু সংশোধনের প্রস্তাব এবং একটি বিধানসভা কমিটির দ্বারা যাচাইয়ের জন্য বিল পাঠানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন জোটের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালে নির্বাচনে ওবিসি কোটার হার বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতি পালন করতেই এই বিলটি পাস করানো হয়েছে বলে জানানো হয়।
বিলে প্রস্তাবিত সংরক্ষণে ঝাড়খণ্ডের স্থানীয় এসসি সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা ১২ শতাংশ, এসটি সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা ২৮ শতাংশ, চরম অনগ্রসর শ্রেণী(EBCs) ১৫ শতাংশ, ওবিসি ১২ শতাংশ এবং EWS অন্যান্য সংরক্ষিত বিভাগের ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সুবিধা পাবে। বর্তমানে ঝাড়খণ্ডে এসটিরা ২৬ শতাংশ সংরক্ষণ পান, যেখানে এসসিরা ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পায়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট সাধারণ শ্রেণিভুক্ত গরিবদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণের অনুমতি দিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে ঝাড়খণ্ড সরকারের এই ধরনের সিদ্ধান্ত যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, বিজেপিকে কিছুটা কোনঠাসা করতেই ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতাসীন জোট এই বিলটি পাস করিয়েছে।
এছাড়াও ঝাড়খণ্ডে আর একটি বিল পাস করানো হয়েছে। সেখানে রাজ্যের জনগোষ্ঠীগুলোর দীর্ঘদিনের দাবিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ঝাড়খণ্ডে পাস হওয়া দ্বিতীয় বিলে রাজ্যের আদি অধিবাসীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে ১৯৩২ সালের জমির দলিলকে প্রমাণ হিসেবে গণ্য করার কথা বলা হয়েছে। এর জেরে ১৯৩২ ও তার আগের দলিল যাঁদের কাছে থাকবে, তাঁদের ঝাড়খণ্ডের আদি বাসিন্দা হিসেবে গণ্য করা হবে। ঝাড়খণ্ডের দ্বিতীয় বিল বিজেপির ওপর চাপ বাড়বে বলেই রাজনৈতিক দলের একাংশ মনে করছে। পরবর্তী সময়ে ঝাড়খণ্ডে আসা 'বহিরাগত'দের একটি বড় অংশ বিজেপির সমর্থক।
জোড়া হারের ধাক্কা কাটিয়ে বাগিচা শহরে জয়ের মুখ দেখল ইস্টবেঙ্গল