অনুদানের অভাবে বুধবার রাত থেকেই বন্ধ হচ্ছে জেটের সব উড়ান
জোগাড় হল না চারশো কোটি টাকার আপদকালীন অনুদান। বুধবার রাত থেকেই বন্ধ হয়ে গেল জেট এয়ারওয়েজের সব উড়ান।
জোগাড় হল না চারশো কোটি টাকার আপৎকালীন অনুদান। বুধবার রাত থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জেট এয়ারওয়েজের সব উড়ান।
২৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বিপজ্জনক আর্থিক সঙ্কটে ভোগা জেট এয়ারওয়েজ অবশেষে আত্মসমর্পণ করল। সংস্থায় কর্মরত পাইলট, তেল কোম্পানি, সাপ্লাইয়ার্স, লেসর্সদের বকেয়া মেটাতে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা তুলেছিল জেট। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়াল নিজের হাতে থাকা প্রায় ২৬% শেয়ার পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের কাছে বন্ধক রেখেছিলেন বলেও জেট সূত্রের খবর।
তা সত্ত্বেও বিপুল আর্থিক ঘাটতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয় জেট এয়ারওয়েজ। এই পরিস্থিতিতে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সহ অন্যান্য ঋণদাতাদের কাছে আরো ১৫০০ কোটি টাকা অন্তর্বর্তীকালীন ঋণ ছাড়াও চারশো কোটি টাকার আপৎকালীন অনুদানের জন্য আবেদন করেছিল জেট এয়ারওয়েজ। ঋণদাতাদের তরফে এব্যাপারে কোনো সদুত্তর না পেয়ে তারা বাধ্য হয়েই উড়ান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জেট সূত্রে খবর।
All jet airways flight, domestic and international, cancelled with immediate effect. The last flight will operate today. pic.twitter.com/RKavcKioSw
— ANI (@ANI) April 17, 2019
উল্লেখ্য, গত মাসেই জেট এয়ারওয়েজের বোর্ড থেকে ইস্তফা দেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়াল ও স্ত্রী অনিতা গয়াল। আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত জেট এয়ারওয়েজের বোর্ড থেকে নিজেদের শেয়ারও তুলে নেন গয়াল দম্পতি। দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের সচিব প্রদীপ সিংহ খারোলাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জেট এয়ারওয়েজের পুনরুদ্ধারে আপৎকালীন ঋণ নেওয়ার বিষয়টি অমীমাংসিত থেকে যায় সংস্থার বোর্ড অব ডিরেক্টরদের বৈঠকেও।
জেট এয়ারওয়েজকে নিয়ে, গত পাঁচ বছরে দেশের মোট সাতটি বিমান সংস্থা মুখ থুবড়ে পড়ল। সেই তালিকায় এয়ার পেগাসুস, এয়ার কস্তা, এয়ার কার্নিভাল, এয়ার ডেকান, এয়ার ওড়িশা ও জুম এয়ারের মতো আঞ্চলিক বিমান সংস্থাও রয়েছে।