জইশের টার্গেটে যোগী, কেজরিওয়াল, ভগবত! উত্তরপ্রদেশে জারি হাই অ্যালার্ট
দুটি আলাদা আলাদা চিঠি। আর তাতেই শোরগোল উত্তর প্রদেশ প্রশাসনে। দুই চিঠিই পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের পাঠানো বলে জানা গিয়েছে। দুটি চিঠিতে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ. দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ওবং আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের ওপর হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এর পরেই যোগী রাজ্য জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট।

উত্তর প্রদেশের সামলি এবং উত্তরখণ্ডের রুরকি স্টেশনে হামলার হুমকি দিয়েও চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয়স্থান এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশের আরও বেশ কিছু স্টেশনে হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
উত্তর প্রদেশের ডিজিপি ওপি সিং দুটি চিঠির ব্যাপারে সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, দুই চিঠিই হাতে লেখা। দুটি স্টেশন থেকে চিঠি দুটি পাওয়া গিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, ২১ এপ্রিল চিঠি দুটি লিখেছে জৈশ-এর এরিয়া কমান্ডার।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুটি চিঠিরই বিষয় বস্তু এক। চিঠি দুটিতে উত্তর প্রদেশের ধর্মীয়স্থান সম্পর্কে বলা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে, বারাণসীর বিশ্বনাথ মন্দির, অযোধ্যার
রাম জন্মভূমি। এগুলিতে বিস্ফোরণের হুমকি ছাড়াও দিল্লি ও হরিয়ানার বিভিন্ন মন্দিরের কথা বলা হয়েছে। চিঠিতে পশ্চিম উত্তর প্রদেশের একাধিক রেল স্টেশনের কথা বলা হয়েছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চিঠি দুটি ভুয়ো বলে মনে হলেও, বিষয়টিকে হাল্কা ভাবে নেওয়া হচ্ছে না।
এক সপ্তাহের মধ্যে এরকম হুমকির এটি দ্বিতীয় ঘটনা। ১৯ এপ্রিল পাওয়া একটি চিঠিতে, পঞ্জাব, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন রেলস্টেশন উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া
হয়েছিল। ওই চিঠিটি লেখা ছিল হিন্দিতে। সেখানে জৈশ-এ এরিয়া কমান্ডার মনসুর আহমেদের নাম দেওয়া ছিল। এই ধরনের একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে, উত্তর রেলের
ফিরোজপুর ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার বিবেক কুমারের কাছে। জঙ্গিদের হত্যার বদলা নিতেই এই হামলা চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। ১৩ মে
সম্ভাব্য আক্রমণস্থল হিসেবে নাম করা হয়েছে ফিরোজপুর, জলন্ধর, ফরিদকোট এবং অমৃতসরের নাম। এছাড়াও সম্ভাব্য বিস্ফোরণস্থ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে রাজস্থানের
বিভিন্ন রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড এবং মিলিটারি বেসের নাম। যার মধ্যে রয়েছে জয়পুর, বিকানের, যোধপুর এবং শ্রীগঙ্গানগরের নাম।
[আরও পড়ুন:অনন্তনাগে নিকেশ ২ জঙ্গি ! এলাকায় জারি তল্লাশি অভিযান]
অপর একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে, উত্তরাখণ্ডের রুরকি স্টেশন ওড়ানোর হুমকি দিয়ে। মে মাসের ৬ তারিখ সম্ভাব্য হামলার দিন উল্লেখ করে রুরকি ছাড়াও হরিদ্বার এবং
আরও দশটি স্টেশনের কথা বলা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড পুলিশকে বিষয়টি নিয়ে জানানো হয়েছে।
হুমকি চিঠি পাওয়ার পর জিআরপি এবং আরপিএফ মিলিতভাবে উল্লিখিত স্টেশনগুলিতে নজর রাখতে শুরু করেছে। যোধপুর জিআরপির সুপারইনটেনডেন্ট মমতা বিষ্ণই
জানিয়েছেন, আরপিএফ-এর সঙ্গে যুগ্মভাবে তারা নজরদারি শুরু করেছেন।
[আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা: ফের নতুন করে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো কলম্বো]