পরীক্ষায় বসল অন্য কেউ, ৯৯ শতাংশ নম্বর পেল জেইই পরীক্ষার্থী, তদন্তে অসম পুলিশ
পরীক্ষায় বসল অন্য কেউ, ৯৯ শতাংশ নম্বর পেল জেইই পরীক্ষার্থী, তদন্তে অসম পুলিশ
এ বছরের সেপটেম্বরে হওয়া জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা (জেইই) মেনস–এ বসা এক পরীক্ষার্থীর বদলে অন্য একজন পরীক্ষা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অসম পুলিশ সেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
মিত্রদেব
শর্মা
নামে
একজন
গুয়াহাটির
আজারা
পুলিশ
থানায়
এ
বিষয়ে
অভিযোগ
দায়ের
করেন।
তাঁর
অভিযোগ
অনুযায়ী,
ওই
পরীক্ষার্থীর
জেইই
মেনসে
নম্বর
এসেছে
৯৯.৮
শতাংশ,
সে
অভিযোগ
করেছে
যে
৫
সেপ্টেম্বরের
পরীক্ষায়
সে
বসেনি।
গুয়াহাটির
অতিরিক্ত
ডিসিপি
সুপ্রতীভ
লাল
বরুয়া
এ
প্রসঙ্গে
বলেন,
'২৩
অক্টোবর
এ
সংক্রান্ত
অভিযোগ
দায়ের
করা
হয়।
আমরা
এই
অভিযোগ
প্রমাণের
জন্য
বিশেষ
তদন্তকারী
দল
গঠন
করেছি।
এফআইআরে
বলা
হয়েছে
যে
আসল
পরীক্ষার্থীর
বদলে
অন্য
একজন
জেইই
মেনসের
পরীক্ষায়
বসেছিল।’
অভিযোগ উঠেছে যে যে পরীক্ষার্থীর পরীক্ষায় বসার কথা তার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল বোরঝাড়ে। কিন্তু ওই পরীক্ষার্থী বায়োমেট্রিকের নিয়ম সারার পর পরীক্ষাকেন্দ্রের এক অধিকর্তার সহায়তায় পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেড়িয়ে আসে এবং তার বদলে জেইই পরীক্ষা দিতে বসে অন্য কেউ। সুপ্রতীভ বরুয়া বলেন, 'বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ওই পরীক্ষার্থী পুরো বিষয়টি ফোনে স্বীকার করার পর, যা রেকর্ড করা হয়েছিল। এটা ছাড়া পরীক্ষার সময় আর কোনও গণ্ডগোল বা এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।’ পুলিশ ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছে, এই এনটিএ গোটা দেশে জেইই পরীক্ষা পরিচালনা করে এবং পুলিশ এই ঘটনার তদন্তের জন্য তাদের কাছ থেকে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে। বরুয়া বলেন, 'আমরা ওই পরীক্ষার্থীর খোঁজ করছি, যে এখন বর্তমানে রাজ্যের বাইরে রয়েছে। তাকে প্রশ্ন করা হবে। এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেফতার হয়নি এই মামলায়।’ অভিযোগকারী জানিয়েছেন যে ওই পরীক্ষার্থীর অভিভাবক দু’জনেই চিকিৎসক এবং একটি বেসরকারি কোচিং সেন্টারকে এই অপরাধে সহায়তা করার জন্য ১৫–২০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন।
স্কুলের ফি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বহাল হাইকোর্টের রায়! স্বস্তিতে অভিভাবকরা