বিহারে সিএএ-এসআরসি-এনপিআর হবে না বলে সরকারি ঘোষণা করুক নীতীশ কুমার, দাবি জেডিইউ নেতার
সিএএ-এনআরসি-এনপিআর বিহারে লাগু হবে না বলে সরকারি ঘোষণা করা উচিত নীতীশ কুমারের। এমনই মন্তব্য করলেন জেডিইউ নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যসভা সদস্য পবন কুমার ভর্মা। পবন কুমার ভর্মার মতে এই আইনটি বিভাজনকারী।
এই বিষয়ে জেডিইউ নেতা বলেন, 'আমি নীতিশ কুমারকে এই নিয়ে একটি চিঠি লিখেছি। তাতে আমি তাঁকে সরকারি ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যবাসীকে জানাতে বলেছি যে এরাজ্যে এনআরসি, সিএএ বা এনপিআর কোনওটাই হবে না। আমি অবাক হয়ে যাই কী করে উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী এনপিআর-এর নিনক্ষণ ঘোষণা করে দিলেন। কোন ভিত্তিতে তিনি এই কাজটি করতে পারলেন!'
এরপর পবন ভার্মা আরও বলেন, 'নীতীশ কুমার বলে দিয়েছেন যে রাজ্যে এনআরসি হবে না। এবং এনপিআর হল এনআরসি-র প্রথম ধাপ। সেই ক্ষেত্রে আমাদের রাজ্যে এনপিআর হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে এই বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে বক্তব্য রাখার আবেদন জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় সরকার নিজে সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছে যে এনপিআর দেশে এনআরসি-র প্রথম ধাপ।'
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি-র বিরোধিতায় দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। এরই মাঝে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়ে দেন যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে সমর্থন জানালেও বিহারে এনআরসি হতে দেবেন না তিনি। প্রসঙ্গত, এই জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি-র প্রথম ধাপ হিসাবেই এনপিআর-কে দেখছে বিরোধী দলগুলি। তবে নীতীশের এনআরসি বিরোধিতার মাঝেই তাঁর দেপুটি সুশীল কুমার মোদী জানিয়ে দিলেন যে সে রাজ্যে এনপিআর-এর কাজ হবে ১৫ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত।
এনপিআর প্রসঙ্গে সুশীল মোদী বলোন, 'দেশজুড়ে এনপিআর-এর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বিহারে সেটি হবে ১৫ মে থেকে ২৮ মে-এর মধ্যে।' তিনি আরও বলেন, 'এনআরসি ও এনপিআর দুটি আলাদা বিষয়। আর যেই যেই রাজ্য বলছে যে তারা সিএএ লাগু করবে না, আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে তাদের এক্তিয়ার নেই এই আইনটি লাগু না করার।'