ভোটের মুখে বিরাট ভাঙন শাসকদলে! বিধায়ক-সহ ১৫ জন নেতাকে বহিষ্কার নীতীশের
বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দল থেকে বহিষ্কৃত হলেন ১৫ জন জেডিইউ নেতা। দলের সু্প্রিমো নীতীশ কুমার নির্বাচনের মুখে দলবিরোধী কাজের জন্য ১৫ জনকে বহিষ্কার করলেন।
বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দল থেকে বহিষ্কৃত হলেন ১৫ জন জেডিইউ নেতা। দলের সু্প্রিমো নীতীশ কুমার নির্বাচনের মুখে দলবিরোধী কাজের জন্য ১৫ জনকে বহিষ্কার করলেন। ছয় বছরের জন্য দল থেকে বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন একজন বর্তমান বিধায়ক, প্রাক্তন সংসদ সদস্য এবং জেলার প্রাক্তন সভাপতিও।
১৫ জন প্রবীণ আঞ্চলিক নেতার বহিষ্কার বিহারে
এনডিএ থেকে বিদ্রোহী শরিক এলজেপি বেরিয়ে আসার পরে জনতা দল ইউনাইটেড বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য লড়াই করছে। তার মধ্যে ১৫ জন প্রবীণ আঞ্চলিক নেতার বহিষ্কার হওয়া রাজ্য রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এই ১৫ জন এখন কোন দল ভারী করে সেদিকেই লক্ষ্য রাজনৈতিক মহলের।
ভোটের মুখে জেডিইউ থেকে বহিষ্কৃত হলেন যাঁরা
জেডিইউ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "জনতা দল ইউনাইটেড বা জেডিইউয়ের রাজ্যের প্রধান সাংসদ বশিষ্ঠ নারায়ণ সিংহ দলবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য ১৫ জন নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দল থেকে বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন ডুমরাঁওয়ের বিধায়ক দাদন সিং যাদব, প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর পাসওয়ান এবং ভগবান সিং কুশওয়াহা এবং প্রাক্তন বিধায়ক রণবিজয় সিং।
নীতীশ কুমারের দলে ভাঙন, ভোটের মুখে বুমেরাং
কয়েকদিন জেডিইউয়ের অন্যতম প্রধান শরিক বিজেপি আটজন বিদ্রোহীকে বহিষ্কার করেছিল। তাঁরা চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আর তার কয়েকদিন পরই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দলে ভাঙন ধরল। ১৫ জন বিদ্রোহী নেতাকে সরিয়ে দেওয়া হল দল থেকে। ভোটের মুখে এই সিদ্ধান্ত বুমেরাংও হতে পারে।
দলে ভাঙন, বিজেপি দাঁড়াল নীতীশের পাশে
রাজ্য বিজেপির বরিষ্ঠ নেতা উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী জানান, বিহারে এনডিএ-র অংশ কেবল বিজেপি, জেডিইউ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঞ্জির এইচএএম এবং মুকেশ সাহনীর ভিআইপি। যদি আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করি তবে কেবল নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। সেই ফ্রন্টে কোনও বিভ্রান্তি হওয়া উচিত নয়।
নীতীশকে চিরাগের হুঁশিয়ারি, তারপরই ভাঙন
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে একের পর এক বিদ্রোহ জারির পর চিরাগ পাসওয়ান ঘোষণা করেন তাঁর দল এলজেপি নীতীশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে, তবে তারা বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে না। তিনি তার আগে বলেছিলেন যে, তাঁর দল জেডিইউর সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেবে না। চিরাগের দাবি, এলজেপি বিজেপির ‘শক্তিশালী' অংশীদার হয়ে গিয়েছে।
যে সমীকরণে মোদী-নীতীশের দল বিহারের ভোটে
উল্লেখ্য, জেডিউ এবং বিজেপি উভয়ের মধ্যে ১২২-১২১ আসনের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত করেছে। ভিআইপি বিজেপির কোটা থেকে ১ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং জিতনরাম মাঞ্জির দল জেডিইউর কাছ থেকে সাতটি আসন পাবে। এই সমীকরণেই আসন সমাঝোতা করে মোদী-নীতীশের দল বিহারে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে।