কর্নাটকের রাজনৈতিক সংকট! কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দেবেগৌড়ার
কর্নাটকে রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে ফের প্রকট হয়ে পড়ল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্য সিদ্দারামাইয়া এবং জনতাদল সেকুলারের প্রধান দেবেগৌড়ার বিরোধ।
কর্নাটকে রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে ফের প্রকট হয়ে পড়ল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্য সিদ্দারামাইয়া এবং জনতাদল সেকুলারের প্রধান দেবেগৌড়ার বিরোধ। দেবেগৌড়া অভিযোগ করে বলেছেন, যে ১৩ কংগ্রেস ও জেডিএস বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন, তাঁরা সবাই সিদ্দারামাইয়ার সমর্থক। তিনি দাবি করেন, কর্নাটকের রাজনৈতিক অস্থিরতার পিছনে রয়েছেন সিদ্দারামাইয়াই।
সব কিছুর পিছনেই রয়েছেন সিদ্দারামাইয়া। একদিকে যেমন যেসব বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁরা সিদ্দারামাইয়ার অনুগামী। অন্যদিকে, কর্নাটকে এই সরকার গঠনের সময় থেকেই অস্থিরতা তৈরি করছেন। তাঁর এই খেলা আগে থেকেই বুঝতে পারায় মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে দিইনি। মন্তব্য করেছেন দেবেগৌড়া। যদি সেই প্রস্তাবই আসে, তাহলে তারা সমর্থন তুলে নেবেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমারের সঙ্গে বৈঠকে নাকি এমনটাই বলেছেন জনতা দল সেকুলারের প্রধান দেবেগৌড়া।
দলের বিধায়কদের একসঙ্গে রাখতে এক বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই নেতাও কর্নাটকের জোট সরকারে সাবোতাজের জন্য দায়ী করেছেন সিদ্দারামাইয়াকে। নিজের সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে কর্নাটকের কংগ্রেস ও জেডিএস জোটকে তিনি দুর্বল করছেন বলেও অভিযোগ ওই কংগ্রেস নেতার। তাঁর আরও অভিযোগ যেসব বিধায়ক মুম্বই চলে গিয়েছেন, তাঁদের সবার সঙ্গেই সিদ্দারামাইয়ার যোগযোগ রয়েছে। দলের হাইকমান্ড এসব জানার পরেও কী করছে, প্রশ্ন তুলেছেন ওই কংগ্রেস নেতা।
যদিও সিদ্দারামাইয়া জোট সরকার, মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী এবং এইচডি দেবেগৌড়ার বিরুদ্ধে কিছু না বলার জন্য দলের কর্মী সমর্থকদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তবে তাঁর সঙ্গে ৫-৬ জন বিধায়কের যোগাযোগ রয়েছে। সবটা তিনি প্রকাশ করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন।
শনিবার কর্নাটক জোট সরকারের সমর্থনকারী ১২ বিধায়ক বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে পদত্যাগের চিঠি দেওয়ার পরেই রাজ্যে রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হয়। রাজ্য বিধানসভায় ২২৪ বিধায়কের মধ্যে জোট সরকারে সমর্থন রয়েছে ১১৮ বিধায়কের। ১২ জনের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।