ফুসফুস অকেজো, জয়া রয়েছেন লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে, চেন্নাইয়ে ছুটি ঘোষণা স্কুলগুলিতে
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের সর্বস্ত দিয়ে আম্মাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। জয়াকে হৃদযন্ত্র সাহায্যকারী ডিভাইস দিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া শ্বাসপ্রশ্বাস সঠিকভাবে চলার জন্যও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
চেন্নাই, ৫ ডিসেম্বর : এআইএডিএমকে নেত্রী কুমারী জয়ললিতা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সোমবারও তাঁকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এই অ্যাপোলো হাসপাতালেই দীর্ঘ ২ মাস ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী।
চেন্নাইয়ে অ্যাপোলো হাসপাতালের বাইরে এআইএডিএমকে মহিলা কর্মীদের ভিড়, দেখে নিন ছবিতে
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের সর্বস্ত দিয়ে আম্মাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। জয়াকে হৃদযন্ত্র সাহায্যকারী ডিভাইস দিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া শ্বাসপ্রশ্বাস সঠিকভাবে চলার জন্যও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। [চেন্নাইয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা জয়ার, দিল্লি এইমসের চিকিৎসক দল পাঠাল কেন্দ্র]
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, যখন কোনও রোগীর ফুসফুস অথবা হৃদয় সঠিকভাবে অক্সিজেন টানতে অসমর্থ হয় তখন ECMO অথবা 'এক্সট্রা কর্পোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন' নামক লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম দিয়ে রোগীকে রাখা হয়। জয়ার ক্ষেত্রেও সেরকমই করা হয়েছে।[ জে জয়ললিতার জীবনী একনজরে ]
একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, একজন রোগীকে বেশ কয়েকদিন, এমনকী সপ্তাহখানেকের বেশি এভাবে রাখা সম্ভব। এই ধরনের যন্ত্র তখনই ব্যবহার করা হয় যখন রোগীর ফুসফুস একেবারেই কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসাবে এই যন্ত্রের ব্যবহার জয়ার জন্য করা হয়েছে। [জয়ললিতার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ, চেন্নাইয়ের কিছু স্কুলে ছুটি দেওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ]
রবিবার এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ফের চেন্নাইয়ের হাসপাতালের বাইরে আম্মা ভক্তদের ভিড় ক্রমেই উপচে পড়ছে। জয়া ভক্তরাই শুধু নয়, দলের নেতা-কর্মী, আমজনতা সকলেরই ফের গন্তব্য হয়ে উঠেছে অ্যাপোলো হাসপাতাল। বাইরে পুলিশ পিকেট বসেছে। চেন্নাইয়ে স্কুলগুলিকে এদিনের জন্য ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কোনও ধরনের অবস্থার জন্য তৈরি প্রশাসন, এমনটাই আভাস মিলেছে।