চীনের চেয়ে কম সময়ে দিল্লিতে বায়ু দূষণ রোধ করব, দাবি প্রকাশ জাভড়েকরের
চীনের চেয়ে কম সময়ে দিল্লিতে বায়ু দূষণ রোধ করব, দাবি প্রকাশ জাভড়েকরের
দিল্লিতে অতিরিক্ত মাত্রায় বায়ু দূষণ উদ্বেগের কারণ সৃষ্টি করেছে। এরকম পরিস্থিতিতে শুক্রবার কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর দাবি করলেন যে চীন বায়ু দূষণ রোধ করতে ১৫ বছর সময় নিয়েছিল, এই দেশ অনেক কম সময়ের মধ্যেই তা রোধ করবে। দিল্লিতে 'বায়ু দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন’ সংক্রান্ত আলোচনায় এসে জাভড়েকর দিল্লির বায়ু দূষণ নিয়ে বলেন, 'বেজিং ১৫ বছর সময় নিয়েছিল (বায়ু দূষণের সঙ্গে লড়াই করতে)। আমরা এর চেয়ে কম সময় নেব।’
পরিবেশ মন্ত্রী জানান, সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় এই বায়ু দূষণ রোধ করা সম্ভব। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে বায়ু দূষণের সম্পর্ক রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মন্ত্রী এর সঙ্গে যোগ করেন যে ২০৩০ সালের আগেই ৪০ শতাংশ ভারতীয়র বাড়িতে পুনরায় ব্যবহার যোগ্য জিনিসের মধ্য থেকে বিদ্যুৎ আসবে। মন্ত্রী দাবি করেন যে ভারত আঘের থেকে আরও বেশি সবুজ হয়েছে এবং দিল্লিতে মেট্রো নির্মাণের জন্য যে গাছ কেটে ফেলা হয়েছিল তার পাঁচগুণ বেশি গাছ লাগানো হয়েছে দিল্লিতে। গোটা দেশজুড়ে যখন দিল্লির বায়ু দূষণ নিয়ে কথা হচ্ছে, প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, 'সমস্যার সমাধান তখনই বের হবে যখন আমরা সমস্যাটা কি তা সনাক্ত করতে পারব।’ প্রসঙ্গত, শুক্রবারও রাজধানীর বায়ুর মান খুবই দুর্বল ছিল। কিছুদিন আগে সামান্য উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার তার মান আবার নেমে যায়। এদিন সকাল সাড়ে ন’টা পর্যন্ত দিল্লিতে বায়ুর মান ছিল ৩৬৪। বিজেপি নেতা জানান, দিনরাত দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য মনিটরিং করা হচ্ছে। দিল্লির বাতাস থেকে বিষ কিভাবে বের করা যায়, তারই চিন্তাভাবনা চলছে। এছাড়াও বেশ কিছু বিষয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে দিল্লির বিষ ধোঁয়ার জন্য টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং প্রতিদিন প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'বেশি করে গাছ রোপণ করা হচ্ছে, যাতে দূষণ হ্রাস পায়। যদি আমরা প্রত্যেকে সাতটি করে গাছ পুঁতি তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই অক্সিজেন ব্যাঙ্ক তৈরি হয়ে যাবে।’ দিল্লির বায়ু দূষণ নিয়ে একে–অপরকে দোষারোপ করতে ব্যস্ত কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। দিওয়ালির আগে থেকেই দিল্লিতে বায়ুর মান খারাপ হতে শুরু করে দেয়।