জাঠ আন্দোলন : মুরথাল রোডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মহিলা অন্তর্বাস, গণধর্ষণের ঘটনা অস্বীকার পুলিশের
মুরথাল, ২৬ ফেব্রুয়ারি : জাতীয় সড়কে মহিলাদের যৌন হেনস্থা বা গণধর্ষণের রিপোর্ট হরিয়ানার পুলিশ প্রশাসন অস্বীকার করলেও, মুরথাল রোডের রাস্তায় ছবি কিন্তু অন্য ঘটনাই ব্যাখ্যা করছে।
এপিবি নিউজে প্রকাশিত খবরে এলাকার যে ছবি তুলে ধরা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে মহিলাদের পোশাকের ছেঁড়া অংশ, জিন্স এমনকী মহিলাদের অন্তর্বাসও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রাস্তা জুড়ে।
যদিও এই বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয় যে, যে ছেঁড়া কাপড়ের অংশ এবং মহিলা অন্তর্বাস রাস্তায় পড়েছিস তা ধর্ষণ পীড়িতদের কি না। কারণ এখনও পর্যন্ত কোনও মহিলা ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে এগিয়ে আসেনি। তবে, মিডিয়া সূত্রের একাংশের রিপোর্টে পুলিশকে ধর্ষিতাদের অভিযোগ দায়ের না করার জন্য চাপ দিয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, কয়েকজন মহিলা স্বীকার করেছেন তারা ধর্ষিত হয়েছেন। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে বলেছে অভিযোগ জানালেও দাঙ্গাকারীদের কোনও সমস্যা হবে না। বরং উল্টে মেডিক্যাল পরীক্ষা এবং আইনি গেঁড়োয় ফাঁসতে হলে সমস্যা তাদেরই হবে।
যদিও হরিয়ানা সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ঘটনাটি ভুয়ো বলে পুরো বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে জাঠ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কারফিউ চলার সময় ওই রাস্তা দিয়ে যারা যাতায়াত করছিলেন তাদের মধ্যে প্রায় ৩০ জনকে আক্রমণ করে দাঙ্গাকারীরা। তাদের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, মহিলাদের টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসা হয়, যারা পালাতে পেরেছেন তারা বেঁচেছেন, যারা পারেননি তারা দাঙ্গাকারীদের হাতে ধর্ষিতা হয়েছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, হাসানপুর এবং কুরাদের স্থানীয় বাসিন্দারা ধর্ষিতাদের আবরু ঢাকতে কাপড় ও কম্বল নিয়ে ছুটে যায়। মুরথালের বাসিন্দারা এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। যদিও পুলিশের কাছে তারাও কোনও অভিযোগ জানাননি।