প্রজাতন্ত্র দিবসের ইতহাস, তাৎপর্য, গুরুত্ব কী, কেন এই দিনটি দেশজুড়ে পালিত হয় জেনে নিন
এবার ভারতবাসী ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করবেন
প্রতি বছর দেশজুড়ে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস আড়ম্বরের সাথে পালিত হয়। এই বছর ভারতবাসী ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করবেন। দিনটি পড়ছে বুধবার।
করোনা মহামারির আগে গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে এই বিশেষ দিনে কোন বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকতে পারেনি। এই বছরও একই অবস্থা। কারণ লাগামহীন করোনা ও ওমিক্রনের গ্রাফ।
প্রজাতন্ত্র দিবসের বিশেষ আয়োজন ‘কুচকাওয়াজ’
এই বছর সরকার প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে এক বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বলা হয়েছে, আয়োজিত কুচকাওয়াজে সশরীরে উপস্থিত হওয়া লোকের সংখ্যা কমানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে প্রায় ২৪ হাজার লোক উপস্থিত থাকতেন। কিন্তু এখন তা কমিয়ে ৫ থেকে ৮ হাজার করারা কথা হয়েছে। এটি চলতি বছরেরে ১৮ জানুয়ারি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ১৫ বয়ছের কম বয়সী শিশুদের এই প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
দেশবাসীর কাছে প্রজাতন্ত্র দিবস উল্লেখযোগ্য কেন
কেন ২৬ শে জানুয়ারি দেশবাসীর কাছে এত বিখ্যাত! ভারতের নাগরিকবৃন্দ তাঁদের সরকার বেঁছে নিতে পেরেছে। পাশাপাশি গণতন্ত্রের পথকে আরও প্রশস্ত করেছে। এই বিশেষ দিনে প্রথম রাষ্ট্রপতি ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ গভর্নমেন্ট হাউসের দরবার হলে শপথ নেন ও আরউইন স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ১৯৫০ সাল থেকে ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হয়। যা ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিন। এই দিনে ভারতীয় সংবিধান কার্যকর হয়েছিল। এই বিশেষ দিনে দেশ একটি রিপাবলিকান ইউনিট হয়ে ওঠে।
এই বিশেষ দিনে কী কী অনুষ্ঠান পালন করা হয়
২৬ জানুয়ারি বিশেষ দিনে সারা ভারতজুড়ে আড়ম্বরের সাথে পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। বিশেষ করে এই দিনটি পালন করা হয় রাজধানী দিল্লিতে। যেখানে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি। এই বিশেষ দিনে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় স্বাধীনতা আন্দোলনে ও তার পরবর্তী যুদ্ধে জনসাধারণের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য শহীদদের আত্মত্যাগ স্মৃতি চারণ করেন। এই বিশেষ দিনে অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রজাতন্ত্র দিবসের তাৎপর্য কী
এই বিশেষ দিনের তাৎপর্য কী! প্রতি বছর রাজধানী দিল্লির রাজঘাট থেকে বিজয়পথ বরাবর একটি কুচকাওয়াজ আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত থাকেন আর্মি, নেভি, এয়ার ফোর্সের বিভিন্ন রেজিমেন্টরা। তাঁরা তাঁদের সমস্ত অফিসিয়াল সজ্জায় মার্চ পাস্ট করে। তাছাড়া অশ্বারোহী ঘোড়াগুলিও অনুষ্ঠানের জন্য সুন্দরভাবে সাজানো হয়। নির্দিষ্ট রাজ্যের সঙ্গীত চালানো হয়। এই এই সুন্দর চিত্রগুলি ভারতীয় সংস্কৃতির বহুগুণ সমৃদ্ধি বাড়িয়ে তোলে। পুরো অনুষ্ঠানটি একটা সুন্দর মুহুতের বাতাস বয়ে আনে।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের ইতিহাস কী
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের ইতিহাস কী! ভারত ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট সবাধীন হয়েছিল। যদিও ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি সংবিধানের সহযোগিতায় একটি গণতান্ত্রিক, প্রজাতন্ত্র ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে ওঠে। পরবর্তীকালে, ২৬ শে জানুয়ারি একটি জাতীয় ছুটি হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সেই সঙ্গে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস হিসাবে স্বীকৃতিও পায়।
'বিটিং দ্য রিট্রিট' আসলে কী
প্রতি বছর ২৯ শে জানুয়ারি বিজয় চকে বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠানটি চার দিনব্যাপী আয়োজিত করা হয়। অনুষ্ঠানের দেশের রাষ্ট্রপতি 'রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষীদের' সাথে একটি অশ্বারোহী ইউনিটে আসেন। যখন প্যারেড করা হয় তখন 'বিটিং দ্য রিট্রিট' জাতীয় গৌরবের সম্মান বাড়িয়ে তোলে। এটি শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যকে চিহ্নিত করে।
প্রজাতন্ত্র দিবস ও স্বাধীনতা দিবসের মধ্যে কী পার্থক্য রয়েছে
প্রজাতন্ত্র
দিবস
ও
স্বাধীনতা
দিবসের
মধ্যে
কিছু
পার্থক্য
দেখা
যায়!
প্রজাতন্ত্র
দিবস
ও
স্বাধীনতা
দিবস
উভয়ই
জাতীয়
দিবস।
কিন্তু
যা
আলাদা
দিন
পালন
করা
হয়।
স্বাধীনতা
দিবস
১৫
আগস্টকে
পালন
করা
হয়।
কারণ,
এই
দিনে
ভারত
ব্রিটিশ
শাসন
থেকে
মুক্তি
পেয়ে
স্বাধীনতা
অর্জন
করেছিল।
আর
২৬
জানুয়ারি
প্রজাতন্ত্র
দিবস
পালন
করা
হয়।
কারণ,
সংবিধানের
সহযোগিতায়
একটি
গণতান্ত্রিক,
প্রজাতন্ত্র
ও
সার্বভৌম
রাষ্ট্র
হিসাবে
গড়ে
উঠেছিল।