নোট বাতিলের একমাস পার : এবার জনধন অ্যাকাউন্টে বেহিসাবি জমার উপরে ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্র
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে কোন কোন এলাকার ব্যাঙ্ক ও শাখায় জনধন অ্যাকাউন্টকে ব্যবহার করে বড় ধরনের নগদ জমা হয়েছে তা চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার তদন্তে নামবে সরকার।
নয়াদিল্লি, ৮ ডিসেম্বর : জনধন অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে যারা কালো টাকা সাদা করার ফিকির করছিলেন তাদের বারবার সাবধান করে দিয়েছিল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নিজে নানা বক্তৃতায় হুঁশিয়ার করেছিলেন। গরিব মানুষদের জনধন অ্যাকাউন্টকে ব্যবহার করলে পার পাওয়া যাবে না, এমনটাই জানানো হয়েছে।
গরিবদের বাঁচাতে জন ধন অ্যাকাউন্টের জন্য এই নিয়ম লাগু করল আরবিআই
নোট বাতিলে ধাক্কায় একলাফে ৪৬৯ জন মাওবাদীর আত্মসমর্পণ
এবার সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করল আয়কর বিভাগ। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে কোন কোন এলাকার ব্যাঙ্ক ও শাখায় জনধন অ্যাকাউন্টকে ব্যবহার করে বড় ধরনের নগদ জমা হয়েছে তা চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার তদন্তে নামবে সরকার।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আয়কর বিভাগের কাছে জনধন অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ রয়েছে। কোন এলাকার কোন ব্যাঙ্কের শাখায় কত টাকা জমা পড়েছে তার পুরো হিসাবই রয়েছে আয়করের কাছে। ফলে তদন্ত শুরু করলে সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট খুঁজে বের করতে বেশি সময় লাগবে না।
কীভাবে ধরে ধরে বেহিসাবি টাকা বের করবে সরকার, জেনে নিন
এই কারণে ব্যাঙ্ক বা এটিএমে শুধুই ২ হাজারের নোট, আকাল ৫০০ টাকার নোটের
সারা দেশে ২৫ কোটি জনধন অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ২০১৪ সালের অগাস্ট থেকে এই বছরের নভেম্বরে নোট বাতিলের ঘোষণার আগে পর্যন্ত জনধন অ্যাকাউন্টে ২ বছরের বেশি সময়ে মোট ৪৬ হাজার কোটি টাকা জমা পড়েছিল। তবে নোট বাতিলের পরের ১০ দিনের মধ্যে ২১ হাজার কোটি টাকা জমা পড়ে যায়। এরপরই নড়েচড়ে বসে সরকার।
তখনই সরকারি তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল যে সমস্ত জনধন অ্যাকাউন্ট অব্যবহৃত হয়ে পড়েছিল এবং যেখানে প্রচুর পরিমাণে বাতিল নোটে নগদ জমা পড়েছে সেগুলিকে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে আয়কর বিভাগ। সেইমতো এবার নিজেদের বলা পথেই হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র।