কাঁধে এবার কাশ্মীরের দায়িত্ব! মোদী-শাহের আমলেই উত্তরপ্রদেশে ব্যাপক জনভিত্তি মনোজ সিনহার
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীত্বের দৌড়ে এগিয়ে মোদী-শাহ ঘনিষ্ঠ মনোজ সিনহা, জনভিত্তির পিছনে কি কারণ
৩৭০ ধারা বিলোপের অক বছর অতিক্রান্ত হতে না হতেই বড়সড় পরিবর্তন উপত্যকার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মানচিত্রে। বৃহষ্পতিবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোজ সিনহাকে জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করা হল। বুধবারই ওই পদে ইস্তফা পূর্ববর্তী গর্ভনর জিসি মুর্মু। এদিকে দিন যত গড়াচ্ছে ততই উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক পরিসরে নতুন করে গুরুত্ব পাচ্ছেন মনোজ সিনহা। সূত্রের খবর, ২০১৭ সালের নির্বাচনের সময়েও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীত্বের দৌড়েও অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা।
মুখ্যমন্ত্রীত্বের দৌড়েও এগিয়ে ছিলেন এগিয়ে আইইটি-বিএইচইউ-র প্রাক্তনী
গত দশকেও উত্তরপ্রদেশের রাজনীতির ময়দানে একাধিক বিষয়ে নতুন করে জনভিত্তি গড়ে তুলেছেন গাজীপুরের এই তিনবারের সাংসদ। ইতিমধ্যেই তার একাধিক কর্মকান্ড ও প্রশাসনিক দক্ষতার জন্য জনমানসে বিকাশ পুরুষ নামে খ্যাতি লাভ করেছেন আইইটি-বিএইচইউ-র এই প্রাক্তনী।এদিকে মোদী-শাহের সান্নিধ্যের কারণেও এর আগেও জাতীয় রাজনীতির ময়দানেই সহজেই জায়গা করে নিতে দেখা মনোজ সিনহাকে।
একাদিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন মোদী-শাহ ঘনিষ্ঠ এই নেতা
এর আগে ভারতীয় রেলের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন মনোজ সিনহা। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোদী সরকারের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। সামলেছেন টেলিকম মন্ত্রকের দায়িত্বও। বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির ছাত্রনেতা থেকে রাজনৈতিক জীবন পদার্পন। একাধিক রাজনৈতিক সফলতার মুখ দেখলেও ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে গাজিপুরে বিএসপি প্রার্থী আফজল আনসারির কাছে হেরে যেতে দেখা যায় যোগী রাজ্যের এই গেরুয়া শিবিরের নেতাকে।
বিহার ভোটের আগেই বিজেপির নতুন চাল ?
এমতাবস্থায় জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসাবে মনোজ সিনহাকে নিযুক্ত করাকে বিজেপি সরকার নতুন চাল হিসাবেই দেখছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। ৩৭০ ধারা বাতিল এবং জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা বিলোপ করার পর উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা মনোজের নিযুক্তি ‘তাৎপর্যপূর্ণ' বলেই মনে করা হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশেক গ্রামীণ অঞ্চলে জনপ্রিয়তার কারণ কি ?
বিশেষজ্ঞদের ধারণা ভূমিহার সম্প্রদায়ের এই বিজেপি নেতাকে উপত্যকার নতুন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক কৌশলের পথে হাঁটতে চাইছে কেন্দ্র। এদিকে রাজ্যের পূর্ব অংশ এবং বিহারেও এই সম্প্রদায়ের যথেষ্ট শক্তি রয়েচে বলে জানা যায়। এদিকে ইতিমধ্যেই বিহারে বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে গেছে। তার মাঝেই মনোজ সিনহার এই নিয়োগ নতুন করে বিহারের গেরুয়া শিবিরকে নতুন করে অক্সিজেন জোগাবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। এদিকে মনোজের রাজনৈতিক সততা তাকে সর্বদা যে কোনও বিতর্ক থেকে দূরে রেখেছে। পাসাপাশি তাঁর ব্যক্তিত্বের কারণেও উত্তরপ্রদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে ব্যাপাক জনভিত্তিও রয়েছে তাঁর।
মোদীর মান বাঁচাতে লাদাখ সংক্রান্ত নথি ওয়েবসাইট থেকে সরাল প্রতিরক্ষামন্ত্রক! কী ছিল সেই নথিতে?