কাশ্মীরি যুবকদের এই কার্যকলাপে রাতের ঘুম ছুটেছে সেনা-গোয়েন্দাদের
জম্মু ও কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সোপিয়ানে সেনার উপরে হামলার পরে তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ফের বড় সংখ্যায় বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি মাথা তোলার চেষ্
নয়াদিল্লি, ২৪ ফেব্রুয়ারি : জম্মু ও কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সোপিয়ানে সেনার উপরে হামলার পরে তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ফের বড় সংখ্যায় বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি মাথা তোলার চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার সেনার উপরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তাতে পরিকল্পিত হামলার চেয়েও ঝোপ বুঝে অতর্কিতে হামলার ভাবনাই বেশি করে প্রকাশ পেয়েছে। অর্থাৎ নিজেদের ভাবনাকে যেনতেন প্রকারে বাস্তব রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা।
গোয়েন্দারা জেনেছেন, একসঙ্গে অনেকগুলি জায়গা থেকে সম্মিলিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। একইসঙ্গে এটাও জানা গিয়েছে, সেনার তরফে জঙ্গিদের খোঁজে যখন গ্রামে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে, তখন সেনা আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য দিয়েছে গ্রামবাসীরা।
সেনার উপরে হামলার পরে সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত নিজে শ্রীনগরে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। উত্তর কম্যান্ডের তরফে সেনা প্রধানকে আশ্বস্ত করে জানানো হয়েছে, এই ধরনের ঘটনা পাকিস্তান সমর্থিত দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সেনার মনোবলকে অনেকটা বাড়িয়ে দেবে।
গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, জম্মু ও কাশ্মীরে ৪৫০ জনের মতো জঙ্গি এই মুহূর্তে রয়েছে। বেশিরভাগই সক্রিয় জঙ্গি। এর মধ্যে ৩৫০ জন জঙ্গি কাশ্মীরের উত্তরে পীর পাঞ্জাল এলাকায় রয়েছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় জঙ্গিদের সংখ্যাও হুহু করে বাড়ছে।
নতুন করে গত এক বছরে ১০০ জন যুবক কাশ্মীরে জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছে বলে সেনা আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে। আর ভয় এক্ষেত্রেই। সেনা রিপোর্ট বলছে, বিদেশি জঙ্গিদের কব্জা করে সহজ। কারণ তারা খুব বেশি লোকালয়ে বা চেনা জায়গায় থাকে না। তাই তাদের ধরা বা নিকেশ করা সহজ। তবে স্থানীয়রা নিজেদের এলাকা খুব ভালোভাবে চেনে। নিজের জায়গায় থেকে নাশকতা চালানো তাদের ধরে নিকেশ করা বেশ কঠিন হয়ে যায়।
এর পাশাপাশি কাশ্মীরে এক শ্রেণির মানুষকে জঙ্গিরা নিজেদের দলে ভিড়িয়েছে যারা নিজেরা জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত না হলেও সেনার আগমনের খবর দেওয়া, সেনা টহল বা ইন্টেলিজেন্সের কোনও খবর আঁচ করলেই তা জঙ্গিদের জানিয়ে দিচ্ছে। আর সেজন্যই গত একবছরে অন্তত ২৫জন জঙ্গি সেনা-পুলিশের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।